বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল ভালোবাসার দিন ছিল। সেই দিনে সারাবিশ্ব জুঁড়ে যখন ভালোবাসা দিবস পালন হয়ছে সেই সময় পাইকপাড়াতে ১৭০জন ছেলে মেয়ের বিবাহের আয়োজন করা হয়। ‘আলোয় ফেরা’ নামে একটি সংগঠন তারা বিগত ৯বছর ধরে এই কাজ করে আসছে। প্রথমে ৫০জনের বিয়ে দিয়ে পথ চলা শুরু হয়।সেটা বাড়তে বাড়তে ১৭০জন গরীব মানুষের বিয়ে হতে চলেছে। কাল গন বিবাহের উদ্বোধন করেন কলকাতা উত্তরের সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জী ও কলকাতা পৌরসভার ৪নম্বরের পৌরপিতা গৌতম হালদার।
সুদীপ ব্যানার্জী বলেন আলোয় ফেরা যে ভাবে মানুষের জন্য কাজ করছে তা বাংলার কোন সংগঠন এই কাজ করতে পারেনি। বাংলায় এতো বড় গনবিবাহ গৌতম হালদারই করতে পারে। ওকে আরো কাজ করতে হবে আগামী দিনে,পাইকপাড়া তে গৌতমের বিকল্প নেই। গৌতমকে পৌরসভার আরো কাজ করতে হবে বলে জানালেন সুদীপ ব্যানার্জী – এই মন্তব্য পর ফের জল্পনা তৈরি হয়। তা হলে কি আবার পৌরসভায় তৃনমূলের টিকিট পাচ্ছে গৌতম হালদার, আর সেটাই জন্য কি আগামীদিন পুরসভার কাজ করার নির্দেশ দিলেন। এমনটা মনে করছে রাজনৈতিক মহল,কারন কলকাতা ১৪৪টা ওয়ার্ডের বিন্যাস হয়েছে। সেখানে ৪নম্বর ওয়ার্ডের কোন পরিবর্তন হয়নি। আর সূত্রের খবর যারা ৫বছর ভালো কাজ করেছে তাদের মধ্যে ভালো জেয়গায় আছে গৌতম হালদার,আর সেই জন্য কি আগামী পৌরসভার ভোটে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী গৌতম হালদার, এমন মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এদিকে বাংলায় পৌরসভা নির্বাচনের জন্য পিকে নির্দেশ দিয়েছেন, পৌরপ্রতিনিধিদের যা মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম দামী গাড়ি চড়া যাবে না,গায়ে বেশি গয়না পড়া যাবে না,আইফোন ব্যাবহার করা যাবে না,মানুষের সাথে কথা বলতে হবে,সমস্যা সমাধান করতে হবে,এছাড়া মানুষের বিপদে দাঁড়াতে হবে। এই সবই কিছুতে গৌতম হালদার এগিয়ে আছে। তাই কি সুদীপ বন্দোপাধ্যায় সিট ঘোষনার আভাস দিয়ে রাখলেন। সেটা এখন দেখার বিশয়৷ এদিকে তৃনমুল প্রার্থী তালিকার দ্বিতীয় কোন ব্যক্তির নাম এখন ও উঠে আসেনি।
এদিন ১৭০জন নবদম্পতির হাতে এনআরসি বিরোধী ব্যানার তুলে ধরেন। এছাড়া গৌতম হালদার বলেন আমরা প্রতিবছর যে ভাবে গনবিবাহের আসর করে আসছি এবার আমরা নতুন সিধান্ত নিয়েছি প্রতিমাসে একটি করে ছেলে মেয়ের বিয়ে দেবো।