বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক সামনে আসছে সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার কার্যত কোমর বেঁধে অ্যাকশনে নেমেছে সিবিআই। সম্প্রতি এই মামলায় (Municipality Recruitment Case) আদালতে অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে। এবার এই মামলায় জড়াল এক হেভিওয়েটের নাম।
পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment Case) সিবিআই স্ক্যানারে এই হেভিওয়েট!
সম্প্রতি আদালতে পেশ করা সিবিআইয়ের অতিরিক্ত চার্জশিটে দাবি করা হয়েছিল, নিয়োগের লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষায় একপ্রকার ‘ছেলেখেলা’ হয়েছে। যোগ্যতামান অর্জনে ব্যর্থ হলেও একইদিনে ২৯ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করা হয়। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, অবৈধ নিয়োগের অর্ডারে স্বাক্ষর করেছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু গোপাল রায়। তবে এবার এই মামলাতেই এক আইএএস অফিসারের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ সিবিআইয়ের।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, ডিএলবি তথা ডিরেক্টরেট অফ লোকাল বডিজের ডিরেক্টর জ্যোতিষ্মান চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা এবার প্রশ্নের মুখে! ইতিমধ্যেই তাঁকে তলব করেছে ইডি। বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি জেরার মুখেও পড়তে হয়েছিল এই আমলাকে। সিজিও কমপ্লেক্সেও হাজিরা দেন তিনি। এবার শোনা যাচ্ছে, সিবিআইয়ের ‘নজরে’ রয়েছে জ্যোতিষ্মান।
আরও পড়ুনঃ ভোটকুশলী অতীত! নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে আসছেন প্রশান্ত কিশোর, চাপে মোদী-মমতা?
সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, দক্ষিণ দমদম পুরসভায় ২৯ জনের নিয়োগে প্রাক্তন পুরপ্রধান পাঁচুর আগেই নিয়োগ অনুমোদন করিয়েছিলেন এই আমলা। একদিনের মধ্যে এই নিয়োগ অনুমোদন করান তিনি। অভিযোগ, কোভিড কালে ‘স্পেশ্যাল কেস’ বলে নোট দিয়ে এই ফাইল পাশ করিয়েছিলেন তৎকালীন ডিএলবি জ্যোতিষ্মান। অভিযোগ, এই ধরণের নিয়োগ প্রসঙ্গে ডিএলবি দফতরের একজন কর্মী আওয়াজ তুললেও তাতে বিশেষ কাজ হয়নি।
এদিকে জ্যোতিষ্মান অনুমোদন দেওয়ার পর সেই চিঠি পৌঁছে যায় দক্ষিণ দমদম পুরসভায়। এরপরের দিন পুরসভার তৎকালীন পুরপ্রধান পাঁচু সেই নিয়োগ (Municipality Recruitment Case) অর্ডারে স্বাক্ষর করেন। নিয়ম বলছে, ডিএলবির অনুমোদন পাওয়ার পরেই প্রার্থীদের নিয়োগ করতে পারে পুরসভা। এবার চার্জশিটে তৎকালীন ডিএলবির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। সম্পূর্ণ বিষয়টিকে দক্ষিণ দমদম পুরসভা এবং ডিএলবির ষড়যন্ত্র বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তদন্তকারীরা।