বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পরীক্ষায় ফেল করেও পেয়েছেন চাকরি! এর আগে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল। শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে সামনে এসেছিল এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। এবার এসএসসি দুর্নীতি ছায়া দেখা গেল পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam)। CBI চার্জশিট পেশ করতেই শুরু হয়েছে চর্চা।
পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় নয়া মোড়!
শুক্রবার আদালতে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Municipality Recruitment Scam) অতিরিক্ত চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সেখানে দাবি করা হয়েছে, লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার নামে কার্যত ‘ছেলেখেলা’ হয়েছে। যোগ্যতামান অর্জন করতে ব্যর্থ হলেও একইদিনে একাধিক কর্মীকে অবৈধভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। এই ঘটনা যখন ঘটেছে, সেই সময় পুরপ্রধান ছিলেন পাঁচু রায়।
CBI চার্জশিট অনুযায়ী, ২০২০ সালে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় একইদিনে ২৯ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ২৭ জনকে মজদুর পদে নিয়োগ করা হয়। এদের প্রত্যেকের লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৫৫। অন্যদিকে বাকি ২ জনকে নেওয়া হয় পিওন পদে। তাঁরা লিখিত পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ৭৫, অন্যদিকে মৌখিকে অনুত্তীর্ণ হন বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আরও পড়ুনঃ নারী-পুরুষ ভেদাভেদ নেই! সবাই পাবেন ৫০০০ টাকা! দেশবাসীর জন্য দুর্দান্ত প্রকল্প কেন্দ্রের
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআইয়ের দাবি, কোনও বিশেষজ্ঞকে ছাড়াই তৈরি হয়েছিল এই নিয়োগ (Recruitment Scam) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। পরীক্ষার বরাত যে সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল, সেই সংস্থার কর্তা অয়ন শীল এবং তাঁর সংস্থার ২ কর্মী ওই প্রশ্নপত্র তৈরি করেছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, অবৈধ নিয়োগের অর্ডারে সই করেছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচু গোপাল রায়। যদিও তিনি এর কোনও দায় নিতে চাননি। উল্টে পাঁচু বলেন, ডিরেক্টরেট অফ সিভিক বডিজ থেকে যেমন নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল তিনি সেই অনুযায়ী কাজ করেছেন।