পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ED-র মাস্টারস্ট্রোক! বিপদে ‘এই’ সকল ব্যক্তি

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে (Municipality Recruitment Scam) ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক পুরসভায় তল্লাশি চালিয়েছে ইডি সিবিআই। ধরে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বহু পুরকর্তাদের। আর এবার গরমিলের হিসেব খুঁজতে বড় অ্যাকশন। এবার দুর্নীতি হয়েছে সেই তালিকায় থাকা সমস্ত পুরসভার হাজিরা খাতা এবং বায়োমেট্রিক মেশিন ইডির (Enforcement Directorates) স্ক্যানারে।

ed

‘টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছি, কাজ করব কেন?’

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির দাবি, শুধুই যে টাকার বিনিময়ে চাকরি হয়েছে তেমনটা নয়, পুর কর্মচারীদের একাংশ নিজেদের দায়িত্বও ঠিক মতো পালন করেননি। আবার সেই সব কর্মীদের মধ্যে কয়েকজন নাকি বেশ গর্বের সঙ্গেই বলেছিলেন, ‘আমারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছি, কাজ করব কেন?’ অর্থাৎ কোনওরকম কাজকর্ম না করে কাজে না গিয়েই মাসের পর মাস বেতন তুলেছেন বহু পুর কর্মচারী, এমনই চঞ্চল্যকর দাবি সামনে এনেছে ইডি।

আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে উত্তুরে হাওয়ার দাপট! এক নজরে বাংলার জেলাগুলির আবহাওয়ার পূর্বাভাস

ED-র নজরে ১০ পুরসভা

ইডি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজ্যের ১০টি পুরসভার হাজিরার বায়োমেট্রিক নথি চাওয়া হয়েছে। ইডির স্ক্যানারে কামারহাটি, বর্ধমান, নিউ ব্যারাকপুর, ব্যারাকপুর, পানিহাটি, দমদম, দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর-সহ একাধিক পুরসভা।

ইডির দাবি, টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়েও নিয়মিত দফতরে যাননি অনেক কর্মচারী। কেউ কেউ ১ মাস, তো কেউ ৬ মাস পর্যন্ত কাজ করে ছেড়ে দিয়েছেন, অথচ প্রতি মাসে মোটা বেতন হাতে পেয়েছেন। কাজ না করেই বেতন তুলেছেন অভিযুক্ত কর্মীরা। এবার সেই সব কর্মীদের হদিস পেতে বড় পদক্ষেপ ইডির।

কেঁচো খুঁড়তে কেউটে

রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নেমে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে কেউটে। পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হদিশ মেলে। এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পরই ইডির নজরে আসে বিষয়টি। তার থেকে একাধিক নথি মেলে। আর সেসব থেকেই পুর দুর্নীতির হদিস পান তদন্তকারীরা।

ayan shil

অয়নের সূত্র ধরেই শুরু হয় তদন্ত। অভিযোগ ওঠে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে হাজার হাজার চাকরি। এরপরই আদালতের নির্দেশে জোরদার তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে। এই দুর্নীতির তদন্ত করতে গিয়েই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতেও চলে তল্লাশি। একাধিক পুরসভার থেকে নথিও চেয়ে পাঠানো হয়। আর এবার পুর কর্মীদের হাজিরা খাতা ও বায়োমেট্রিক নথি খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর