বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাবা মাকে মাথায় কাটারি দিয়ে খুন করার অভিযোগে অভিযুক্ত ছেলে শোভন সরকারকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত। নয় বছর আগে ২০১৩ সালে ঠাকুরপুকুরের তালপুকুর রোডে ছোট ছেলের হাতে নৃশংসভাবে খুন হন বাবা – মা। শিউরে ওঠার মত সেই মর্মান্তিক ঘটনার দীর্ঘদিন পর অবশেষে সাজা ঘোষণা করল আদালত।
মা ঊষারানী সরকারকে পুজো করার সময় ধারালো কাটারি দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করার পর একই কাদায় বাবাকেও খুন করে শোভন। এই মর্মান্তিক ঘটনায় ছেলে শোভন সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ খুন ও ২০১ তথ্য প্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু করে শুরু হতে থাকে তদন্ত।
এই খুনের ঘটনার দীর্ঘদিন পর অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৫ নম্বর অতিরিক্ত আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালত। সেই ঘটনায় সোমবার ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত। এর সাথে অভিযুক্ত শোভন সরকারকে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে অতিরিক্ত সাত বছরের জেল ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৫ ই জুলাই ঠাকুরপুকুর থানার তালপুকুর রোডের বাসিন্দা পরেশনাথ সরকার ও তার স্ত্রী ঊষারাণী সরকার নৃশংসভাবে খুন হন। এরপর তাদের মৃত দেহটি চাদরে মুড়ে নিচের একটি করে রেখে দেয় অভিযুক্ত। সেই মৃতদেহকে বাড়িতে রেখেই ঘুমাতে যান অভিযুক্ত ছেলে শোভন সরকার। এর পরের দিন সকালে হঠাৎ মিস্ত্রি ডেকে একটি পাতকুয়া করার পরিকল্পনা করেন শোভন। হঠাৎ করে পাতকুয়া করার পরিকল্পনা শুনে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে খুড়তুতো ভাইয়ের মনে। সে সময় কাকু কাকিমার সন্ধান না পেয়ে তিনি খবর দেন ঠাকুরপুকুর থানায়।
জানা যায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পড়াশোনায় ভালো হলেও শোভন পড়াশুনার বিষয়ে অনেকটা পিছিয়ে থাকতেন। প্রায় প্রতিদিনই নানা রকম অশান্তি লেগে থাকতো শোভন ও তার বাবা-মার মধ্যে। তাই শোভনের মনে ধারণা হয়েছিল পড়াশোনায় ভালো না হওয়ায় সে হয়তো সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হতে পারে। জানা যায় সেই ধারণা থেকেই এইরকম মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছিল শোভন সরকার।