বাংলাহান্ট ডেস্ক : বসন্তকালে পুরুলিয়ার (Purulia) পরিবেশ ভরে ওঠে লাল পলাশে। এই সময় বহু বাঙালি পর্যটক পাড়ি জমান পুরুলিয়া। পুরুলিয়ার মুরগুমা এমন একটি জায়গা যা অবাক করে দেয় এখানে আসা পর্যটকদের। রুক্ষ পুরুলিয়ার মাটিতে এই জায়গা যেন এনেছে সবুজের প্লাবন। অযোধ্যার কোলে এই ছোট্ট পর্যটক কেন্দ্রে রয়েছে ছোট ছোট পাহাড়ের ঘেরা জলাশয়। দুচোখ মেলে দেখা যাবে পলাশ, শাল, সেগুন, মহুলের সবুজ বনানী।
অযোধ্যার কোলে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে নিয়ে মুরগুমা (Murguma) স্বাগত জানাতে তৈরি আপনাকে। বসন্তের আবহে দোলের ছুটিতে আপনার প্রিয় উইকএন্ড ডেস্টিনেশন (Weekend Destination) হতেই পারে এই জায়গা। পুরুলিয়া গেলে ঘুরে আসতেই পারেন মুরগুমা। মুরগুমা গড়ে উঠেছে ড্যামকে কেন্দ্র করে। মুরগুমার জনপ্রিয়তা বাড়ছে মূলত অবসর যাপনের উদ্দেশ্যে। অনেকেই পুরুলিয়ার এই পর্যটন কেন্দ্রকে বেছে নিচ্ছেন জলাশয়ের শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশের সময় কাটানোর জন্য।
এই এলাকার অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা হল সুইসাইড পয়েন্ট। এই ভিউ পয়েন্ট অবস্থিত পাহাড়ের শীর্ষে। জলধার রয়েছে তিনদিক জুড়ে। আর সবুজ বনানী রয়েছে তার মাঝে মাঝে। সুইসাইড পয়েন্ট জলাধার থেকে দেড় কিলোমিটারের পথ। জলাশয়ে রাস্তা ধরে হাঁটতে হাঁটতে সুইসাইড পয়েন্টে পৌঁছে যেতে পারেন। বলে রাখি আত্মহত্যার সাথে এই জায়গার নামের কোনও যোগ নেই। পায়ে হেঁটে মুরগুমা গ্রামও ঘুরে দেখতে পারেন।
টিলা জঙ্গলের পথ ধরে গেলেই আপনি পৌঁছে যাবেন সাঁওতালি গ্রামে। এই গ্রামের বিশেষত্ব হল আদিবাসীরা উৎসবের মরশুমে নিজের হাতে প্রাচীন শিল্প, কারুকার্য আঁকে মাটির দেওয়ালে। এই গ্রামের আদিবাসীরা ছৌ নাচের শিল্পী। এছাড়াও শীতকালে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা লেগে থাকে মুরগুমায়। এছাড়াও হাতে সময় থাকলে কাঁসাই নদীর তীরে দেউলঘাটা ঘুরে আসতে পারেন।
মুরগুমা ৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পুরুলিয়া শহর থেকে। হাওড়া থেকে চক্রধরপুর এক্সপ্রেসে যেতে হবে পুরুলিয়া স্টেশন। সেখান থেকে বাসস্ট্যান্ড পৌঁছতে হবে টোটো করে। বাসে করে এরপর যেতে হবে বেগুনকোদর। ওখান থেকে ব্রেক জার্নি করে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন মুরগুমা। রাত্রিবাসের জন্য এই এলাকায় রয়েছে কয়েকটি রিসর্ট। আগে থেকে বুকিং করে আপনি চলে যেতেই পারেন এইসব রিসর্টে।