স্টেশনে নেমেই মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া মুড়ি বিলি করলেন তৃণমূল কর্মী, প্রসাদ পেতে ভিড় উৎসুক গ্রামবাসীদের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুড়ি। ছোট একটা শব্দ। বাঙালির রোজকারের খাবার। কিন্তু একুশে জুলাই তৃণমূলের শহীদ দিবসের পর থেকেই এই দৈনন্দিন জীবনের খাবারটিই হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতিতে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে এক মুঠো মুড়ি তুলে নিয়েছিলেন মঞ্চে। আর তারপরেই স্টেশনে নেমেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোঁয়া মুড়ি সবার সাথে ভাগ করে নিলেন আউসগ্রামের তৃণমূল কর্মী দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়।

ট্রেন থেকে নামার পর তাকে ঘিরে ভিড় করতে থাকে উৎসুক জনতা। তাদের উদ্দেশ্যে কলকাতা থেকে নিয়ে যাওয়া মুড়ি বিলিয়ে দেন দেবাশীষ ও তার সঙ্গীরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পর্শ পাওয়া এই মুড়ি তৃণমূল কর্মীরা শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করেন এবং কপালে ঠেকিয়ে তা মুখের মধ্যে পুরে দেন। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো সারা পড়ে গেছে আউসগ্রাম জুড়ে।

   

প্রসঙ্গত গতকাল ছিল তৃণমূলের শহীদ দিবস। দু’বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর পুনরায় শহীদ দিবস নিয়ে রীতিমত উৎসাহী ছিলেন তৃণমূল কর্মীরা। দুদিন আগে থেকেই সারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মতলা এসে জড়ো হন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। সঠিক সময় মত একুশে জুলাই এর মঞ্চে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি মুড়ি ও চিড়ের উপর জিএসটি বসানো কে কেন্দ্র করে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় প্রতিকী প্রতিবাদ হিসেবে মঞ্চের সামনে কিছু তৃণমূল সমর্থকের কাছ থেকে চেয়ে নেন মুড়ি। সেই মুড়ি হাতে ধরে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দেন।

এরপরই রীতিমতো লাইম লাইটে উঠে আসেন সেই মুড়ি প্রদানকারী তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা । দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় নামে সেই তৃণমূল কর্মী মুখ্যমন্ত্রীর ছোঁয়া মুড়ি পেয়ে আপ্লুত। সভা শেষে তিনি বলেন ,এই মুড়ি তাদের কাছে প্রসাদের সমান। গ্রামে ফিরে গিয়ে গ্রামবাসীদের কাছে এই মুড়ি তিনি বিলি করবেন। সেই মতো আজ আউসগ্রামে পৌঁছে সকল তৃণমূল কর্মী ও গ্রামবাসীদের কাছে “মুখ্যমন্ত্রীর প্রসাদ” বিলি করেন। তৃণমূল কর্মী দেবাশীষ সাংবাদিকদের বলেন,”দিদির হাতের ছোঁয়ার মুড়ি পেয়ে আমরা ধন্য। প্রতিবছর একুশে জুলাই এর সভায় যাই, এবারের সভা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর