জামাইয়ের সঙ্গে পরকীয়া শাশুড়ির! আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে মহিলাকে পিটিয়ে মারল গ্রামবাসী

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রেমের ফাঁদ পাতা এই ভুবনে, একটু পা ফস্কালেই ফাঁদে পড়তে হয়, রক্ষে পাওয়া মুশকিল। বহুদিন ধরেই শাশুড়ী জামাইয়ের প্রেমের গল্পের ফিসফাস চলছিল গ্রামে। থোড়াই কেয়ার না করে দিব্যি প্রেম চালাচ্ছিলেন শাশুড়ী-জামাই। অবৈধ সম্পর্ক সহ ইতি ঘটল জীবনে । গত সোমবার রাতে এক মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী রইলো মুর্শিদাবাদ।

ইতিহাসে মুর্শিদাবাদের জুড়ি মেলা ভার, বহু ঐতিহাসিক কারণে আজও মুর্শিদাবাদ জনপ্রিয়। তবে গত সোমবারের ঘটনায় এই একবিংশ শতাব্দীতে তৈরি হল এক বর্বরতার নোংরা নৃশংস ইতিহাস। মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার সর্বঙ্গপুর এলাকায় গত সোমবার গ্রামবাসীদের গণধোলাই খেয়ে মৃত্যু বরণ করলেন শাশুড়ী। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি জামাই।

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গত সোমবার রাতে তাদের একই ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় । তারপরেই ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের মধ্যে কয়েকজন ঘরে ঢুকেই বাঁশ লাঠি দিয়ে উত্তেজিত হয়ে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেন শাশুড়ী ও জামাইকে। ঘটনাস্থলেই বাঁশের আঘাতে মৃত্যু ঘটে শাশুড়ি নুর সেফা বিবির। ৩৮ বছর বয়সী জামাইকে তারপর গুরুতর জখম অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় হরিহর পাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখান থেকে তাকে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বিয়ের পর থেকেই জামাই মফিজুল মণ্ডলের সাথে নুর সেফ বিবির অবৈধ সম্পর্কের শুরু হয়। এই নিয়ে বহুবার অশান্তি ও হয় দুই পরিবারের মধ্যে। এই অশান্তির জেরে দীর্ঘদিনের জমে থাকা অসন্তোষের আগুনে ঘি ঢেলে দেয় সোমবার রাতের দুজনের এক ঘরে ঢুকে দোর দেওয়ার ঘটনা। তার জেরেই খুন হন শাশুড়ী। রফিজুলের দাবি, তাদের মধ্যে এমন কোনও সম্পর্ক না থাকলেও ভুল ভেবে শ্বশুর ও শ্যালকেরা বেধড়ক মারতে থাকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধারের পাশাপাশি খুনের সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ করছে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর