বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রকাশ্য মঞ্চে কাটমানি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। সেই কারণদর্শাতে বলে শোকজ করা হলো বড়ঞার থানার ওসি সন্দীপ সেনকে। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার সন্দীপ সেন এর কাছে জানতে চেয়েছেন, তিনি কি কারণে প্রকাশ্যে এই ধরনের বক্তব্য পেশ করলেন।
জানা গিয়েছে, কালীপুজোর একটি অনুষ্ঠানে সন্দীপ সেন রাস্তা তৈরিতে কাটমানি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি তিনি অভিযোগের আঙুল তোলেন তার পূর্বতন ওসিদের বিরুদ্ধেও। সন্দীপবাবু এহেন মন্তব্যে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক জগতে।
কালীপুজোর সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে সন্দীপ সেন বলেন, ঠিকাদাররা ৪০ শতাংশ লস করে রাস্তা তৈরি করবে। এরপর নিজেরা খাবে ২০ টাকা। হলো কত? ৬০। ব্লক অফিসে দিতে হবে ৪ শতাংশ। হলো ৬৪। অন্যান্য খেঁকশিয়াল এর বাচ্চাদের দেবে আরও ৫ শতাংশ। আমি আরো কিছুটা এক্সট্রা ধরে ৭৫ করলাম। পড়ে থাকলো কত? মাত্র ২৫। এই ২৫ টাকায় কি ঘন্টার কাজ হবে সাহোড়া এলাকায়। আমি এসে এটা বন্ধ করেছি।
সন্দীপ সেনের এই বক্তব্যের পর ফের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ২০১৯ সালের কাটমানি বিতর্ক। কাটমানি খাওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন তৃণমূল নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের এলাকাবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই নিয়ে মুখ খুলতে হয় স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এতদিন পর ফের একবার রাজ্য-রাজনীতিতে কাটমানি প্রসঙ্গ।
যদিও গ্রামের বাসিন্দারা কাটমানি মন্তব্যে পাশেই দাঁড়িয়েছেন বড়ঞার থানার ওসি সন্দীপ সেনের। তাদের বক্তব্য, ওসি সাহেব ভুল কিছু বলেননি। এই গ্রামে বহু বছর আগে শেষবারের মতো রাস্তা তৈরি হয়েছিল। বেশ কিছু রাস্তা এখনো কাঁচা অবস্থায় আছে।