বাংলা হান্ট ডেস্ক: শাশুড়ি জামাই এর মধ্যে ঝগড়া থেকে বোমাবাজি। নাটকীয় ঘটনায় একেবারে হুলস্থূলকাণ্ড মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামসেরগঞ্জের ধুলিয়ান শহর এলাকায়। আসলে প্রথম থেকেই স্বামীর হেরোইন এবং গাঁজার কারবার একেবারে নাপসান্দ ছিল স্ত্রীর। তাই স্বামীকে ওই ব্যবসা থেকে সরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়েও কাজ হয়নি মুখের কথায়। তাই শেষ পর্যন্ত উপায় না পেয়ে স্বামীকে হিরোইনের কারবার থেকে সরাতে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন স্ত্রী। আর এই পরিস্থিতিতে মেয়ের পাশে দাঁড়ান তার মা। আর এইভাবে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তির মাঝে শাশুড়ি এসে পড়ায় রেগে আগুন জামাই।
যার জেরে শনিবার গভীর রাত থেকেই শাশুড়ির উপরে চলতে থাকে মুহুর্মুহু ইঁট-বৃষ্টি থেকে শুরু করে বোমাবাজি। এদিন শাশুড়ির সাথে কথা কাটাকাটি করতে করতে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন জামাইবাবাজি। শুরু হয় ব্যাপক ইঁটবৃষ্টি। এই দ্বন্দ্বের ব্যাপক ভাঙচুর হয় একাধিক দোকানে।
এই ঘটনায় আহত হন দুই শিশু-সহ মোট পাঁচ জন। এদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিরাট পুলিশ বাহিনী।কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য র্যাফ নামাতে হয়।সূত্রের খবর, অভিযুক্ত হাকিম শেখ ধুলিয়ান পুরসভার বিভিন্ন পাড়ায় গোপনে হেরোইন বিক্রি করতেন।
আরও পড়ুন: মাস গেলে ৩০০ টাকা কমে পেয়ে যান LPG সিলিন্ডার! কিভাবে? এখনই জানুন এই সরকারি নিয়ম
এব্যাপারে হাকিমের স্ত্রীর বার বার বুঝিয়েও ওই ব্যবসা থেকে তাঁকে সরিয়ে আনতে পারেননি। তখন বাধ্য হয়েই মা এবং ভাইকে জানান হাকিমের স্ত্রী।এরপর শনিবার গভীর রাতেই জামাই ও শাশুড়ির মধ্যে বেঁধে যায় ঝামেলা। জানা গিয়েছে পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতেই গা-ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত জামাই।
এদিনের এই ঘটনা প্রসঙ্গে জঙ্গিপুরের পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেছেন, ‘ঘটনার খবর পেয়েই প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হলে গোটা ঘটনার কারণ জানা যাবে।’