বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওয়াকফ আইন (WAQF Act) বিরোধী প্রতিবাদে রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসছে। জঙ্গিপুর, আমডাঙার পর তেতে উঠেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। অশান্তির জেরে ঘরছাড়া বহু পরিবার। আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ শিবিরে। ৭ দিনের শিশুকে নিয়ে যেমন মালদহের বৈষ্ণবনগরের পারলাল হাইস্কুলে ঠাঁই নিয়েছেন সামশেরগঞ্জের বেদবনা গ্রামের এক গৃহবধূ।
‘পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারল কই?’ প্রশ্ন ঘরছাড়া গৃহবধূর (Murshidabad Violence)
জানা যাচ্ছে, একরত্তির জন্মের দিন থেকেই অশান্ত এলাকা। এর মধ্যেই সন্তান কোলে বাড়ি এসেছিলেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু সন্তানসুখ ঠিকমতো বুঝে ওঠার আগেই ঘরছাড়া হতে হল তাঁকে। ৭ দিনের একরত্তিকে কোলে নিয়ে নদী পেরিয়ে আশ্রয় নিলেন বৈষ্ণবনগরের পারলাল হাইস্কুলে।
শনিবার সকালে ঘরের ভেতর ঢুকে তাণ্ডব দেখাতে শুরু করেন দুষ্কৃতীরা। বাইরে চলছে বোমাবাজি। সেই আওয়াজে কেঁপে ওঠে একরত্তি শিশু। বাড়ির ভেতর ঢুকে গ্যাস সিলিন্ডার খুলে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা (Murshidabad Violence)। সন্তান কোলে কোনও মতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন ওই গৃহবধূ।
আরও পড়ুনঃ বিরোধীরা ভীত বলেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে! মুর্শিদাবাদ অশান্তি নিয়ে বিস্ফোরক যোগী
একরত্তিকে নিয়ে এখন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন নতুন মা। সন্তানের গায়ে ধুম জ্বর থাকলেও ডাক্তার ডাকতে পারছেন না। প্রবল চিন্তায় দিন কাটছে তাঁর। ওই গৃহবধূ জানান, ‘স্বামী বিদেশে কাজ করে। ঘর-বাড়ি সব কিছু জ্বালিয়ে দিয়েছে। টাকা-গয়না সব লুঠ করে নিয়ে গিয়েছে। পুলিশেরও দেখা পাওয়া যায়নি’।
দুষ্কৃতীরা যখন ঘরের ভেতর ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন পুলিশ (West Bengal Police) কোথায় ছিল? তাঁরা কি নিরাপত্তা দিয়েছিল? জবাবে ওই ঘরছাড়া গৃহবধূ বলেন, ‘পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারল কই? তাহলে কি এখানে আসতাম? কিছু পুলিশ এসেছিল, আমাদের অস্ত্র নিতে বলছে। আমরা কী পারব?’
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad Violence) সামশেরগঞ্জের পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে। একে একে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুতি, ধুলিয়ান সহ নানান এলাকা। শনিবার অশান্তি চরমে উঠেছিল। রবিবার বিকেল অবধি নতুন করে কোনও অশান্তির খবর সামনে না আসলেও, সেখানকার পরিস্থিতি এখনও থমথমে।