বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছুদিন আগে পর্যন্তও মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) হিংসার খবরে রাজ্য রাজনীতি ছিল সরগরম। সামশেরগঞ্জ, সুতি থেকে ধুলিয়ান, একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছিল হিংসা। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় থিতিয়ে গিয়েছে উত্তেজনা। ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad)। কিন্তু বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির জেরে কার্যত মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন আক্রান্ত এলাকার বাসিন্দারা। এমতাবস্থায় আগামী ৫ ই মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফরের দিকে তাকিয়ে আশায় বুক বাঁধছেন তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিশেষ আর্জি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের
হিংসার ঘটনায় সর্বস্ব হারিয়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। অনেকেই অভিযোগ করেছিলেন, সর্বস্ব লুট করে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ঘর, দোকান সারাইয়ের জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসন থেকে টিন, লোহার রড, পাইপ থেকে ১০ বস্তা সিমেন্ট দেওয়া হয়েছে। অনেকে সারাইয়ের কাজ শুরু করেছেন বটে, তবে অধিকাংশেরই বক্তব্য, এটা যথেষ্ট নয়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁদের আর্জি, অন্যান্য অঘটনের সময় যেভাবে ক্ষয়ক্ষতির নিরিখে নির্দিষ্ট পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, এবারেও তেমনটাই করা হোক।
মুর্শিদাবাদ সফরে যাচ্ছেন মমতা: হিংসার ঘটনায় বহু মানুষ ভিটেমাটি হারিয়েছেন, প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাঁদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে প্রতিকারের ব্যবস্থা করবেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই আশা ক্ষতিগ্রস্তদএর। তাই ৫ ই মে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের (Murshidabad) অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। তবে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ওইদিন কোনো কর্মসূচি রাখছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৬ ই মে পরপর বেশ কয়েকটি কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
আরো পড়ুন : কাশ্মীর হামলার আবহেই জোরালো গুঞ্জন, এবার সেনা জওয়ানের চরিত্রে সলমন! দর্শক টানতে বড় চমক
কী কী কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর: জানা যাচ্ছে, এদিন প্রথমেই সড়কপথে তিনি যেতে পারেন সামশেরগঞ্জ। সেখানে বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে তিনি রওনা হবেন ধুলিয়ানের (Murshidabad) উদ্দেশে। সেখানে একটি কর্মসূচি সেরে সবশেষে তিনি যাবেন সুতি। সেখানে দুপুর দুটো থেকে ছাপঘাটি ময়দানে প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
প্রসঙ্গত, হিংসার ঘটনা চলাকালীন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতা নেত্রী, রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস থেকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা মুর্শিদাবাদে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী যাননি। তবে তিনি বলেছিলেন, আগে শান্তি ফেরানো জরুরি। সময় হলেই তিনি যাবেন মুর্শিদাবাদ। তাঁর এই সফরের জন্য আপাতত অপেক্ষায় রয়েছেন জেলার মানুষ।