বাংলা হান্ট ডেস্ক: ওয়াকফ সংশোধনী আইনের (WAQF Protest) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে কয়েকদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)৷ সেই অশান্তির আবহেই খুন হন জাফরাবাদ নিবাসী হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে। ইতিমধ্যেই এই খুনের (Murder) ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হাওড়ার ডোমজুড় থেকে ফেকারুল শেখকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা।
বাবা-ছেলে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার আরও এক (Murshidabad Violence)
হরগোবিন্দ ও চন্দনের খুনের ঘটনায় এর আগেই চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এবার পঞ্চম গ্রেফতারি করা হল। শনিবার রাতে ডোমজুড় থেকে ফেকারুলকে গ্রেফতার করে সিট। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ধৃতকে মুর্শিদাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবারই আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
সামশেরগঞ্জের সুলিতলার বাসিন্দা ফেকারুল। এমনটাই জানা গিয়েছে। গত ১১ এপ্রিল বাবা-ছেলেকে খুন করার পর অভিযুক্তরা ফেরার ছিল। ফেকারুলও তাই করেছিল। এরপর হাওড়ার ডোমজুড়ে রাজমিস্ত্রির ছদ্মবেশ ধারণ করে গা ঢাকা দেয়। যদিও তাতে কোনও লাভ হয়নি। শেষমেষ তাঁকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আটক বাঙালি BSF জওয়ান! কেমন আছেন পিকে? জানালেন সাংসদ কল্যাণ
জানা যাচ্ছে, এই জোড়া খুনের ঘটনায় বাকি ধৃতদের জেরা করার পর ফেকারুলের নাম জানা যায়। সেই সঙ্গেই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখা হয়। এরপর ডোমজুড়ে হানা দেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই ফেকারুলকে গ্রেফতার করা হয়।
সদ্য গ্রেফতার হওয়া ফেকারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, খুনের সময় তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন। এই অপরাধের সঙ্গে সে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।
অন্যদিকে শনিবারই জাফরাবাদ গিয়ে হরগোবিন্দ ও চন্দনের (Murshidabad Violence) পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের হাতে ১০ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দেন বিজেপি বিধায়ক। রাজ্যের দেওয়া ক্ষতিপূরণ ফিরিয়ে দিলেও শুভেন্দুর টাকা গ্রহণ করেছেন দাস পরিবারের সদস্যরা।