বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওয়াকফ আইন (WAQF Act) বিরোধী প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি থেকে পালিয়েছে বহু পরিবার। এই অশান্তির আবহেই খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাস। সম্পর্কে তাঁরা বাবা-ছেলে। বুধবার তাঁদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে সেই ক্ষতিপূরণ নেবে না বলে জানিয়ে দিল দাস পরিবার।
‘টাকা দিয়ে কী হবে?’ প্রশ্ন হরগোবিন্দের স্ত্রীর- (Murshidabad Violence)
গতকাল হরগোবিন্দ ও তাঁর ছেলে চন্দনের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়েছে। তবে পরিবারের অভিযোগ, শ্রাদ্ধের জন্য ক্ষৌরকার, পুরোহিতকেও পাশে পাননি তাঁরা। আতঙ্কে কেউ আসেনি বলে দাবি দাস পরিবারের। অগত্যা পুরোহিত ছাড়াই বাবা-ছেলের শ্রাদ্ধ সম্পন্ন হয়েছে। এমতাবস্থায় রাজ্যের ক্ষতিপূরণ চাই না বলে জানিয়ে দিলেন দাস পরিবারের সদস্যরা।
প্রয়াত হরগোবিন্দের স্ত্রী পারুল দাস বলেন, ‘টাকা দিয়ে কী হবে? আমরা চাই দোষীদের কঠিন শাস্তি হোক’। একই সুর শোনা গিয়েছে চন্দনের স্ত্রী পিঙ্কির গলাতেও। রাজ্যের (Government of West Bengal) ক্ষতিপূরণ নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। বরং গ্রামে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন পিঙ্কি। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ঘটনার দিন পুলিশ যদি সময় মতো আসতো, তাহলে কারোর প্রাণ যেত না।
আরও পড়ুনঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের পোয়া বারো! ফের ২% DA বাড়াল সরকার! কবে থেকে হাতে আসবে?
হরগোবিন্দের মেয়ে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে পুলিশকে ফোন করলেও সেদিন পুলিশ আসেনি। আর মুখ্যমন্ত্রী আজ বলছেন পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এই ক্ষতিপূরণ আমরা চাই না’।
এদিকে বাবা-ছেলেকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মুর্শিদাবাদের সুতি ও বীরভূমের মুরারই থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার থেকে অশান্ত মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)। একে একে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান সহ বেশ কিছু এলাকা। প্রাণহানি হয়েছে একাধিক ব্যক্তির। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন হরগোবিন্দ ও চন্দন। গতকাল তাঁদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপুরণ ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেই টাকা নেবেন বলে জানাল দাস পরিবারের সদস্যরা।