বাংলা হান্ট ডেস্ক:সম্প্রতি ১১ই জুলাই একটি বৃষ্টির দিনে মধ্যমগ্রামের একটি বিলাসবহুল বাড়িতে তমোঘ্ন তার পরবর্তী হিন্দি ও বাংলা গানের ভিডিওর শুটিং করলেন। একই গানের দুটি ভার্সান।গান দুটির গায়ক ও সংগীত পরিচালক তমোঘ্ন নিজেই।বাংলা গানটির কথা লিখেছেন তমোঘ্ন নিজেই।হিন্দি গানটির কথা লিখেছেন প্রেম কুমার গুপ্তা।গানটির সাউন্ড ডিজাইনিংও তমোঘ্ন নিজেই করেছেন।গানটির রেকর্ডিং করেছেন রবি মাঝি ও পোগ্রামিং করেছেন সুভাষ মল্লিক।
সব মিলিয়ে টিম তমোঘ্ন ১২জন মডেল ও প্রতিষ্ঠিত কিছু অভিনেত্রীদের পোর্টফোলিও দেখেছেন।তাদের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয় মডেল শ্রেষ্ঠা সুরকে।আজ বাংলা সঙ্গীত জগতে একটি বিশিষ্ট নাম তমোঘ্ন।শুধু বাংলায় নয় মুম্বাইয়ের এই মুহূর্তের নামকরা গায়কেরা তথা সোনু নিগম ,অভিজিৎ সবাই তাকে চেনেন।LinkedIn নামক জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়ায় তার ফলোয়ার সংখ্যা ৩০হাজার।
১৯৯৯ ও ২০০১ এ অ্যালবাম করলেও সৈকত মিত্রের “তোমার ভালোবাসা” অ্যালবামকেই তমোঘ্ন তার প্রথম Break মনে করেন।তারপর একের পর এক বাংলা আধুনিক অ্যালবাম এ কাজ করেছেন।”সামিয়ানা”,”তোর জন্য “, “Straight from my heart “, “বিকেলবেলা”,”পাল্টা হাওয়া “, “You are my luv”, “তোকে বুকে রেখে ” একাধিক অ্যালবাম এ কাজ করেছেন ।
তবে শুধু সুরকার,গীতিকারও গায়ক হিসেবে তিনি থেমে থাকননি।বর্তমানে প্রযোজক হিসেবে কাজ করছেন তমোঘ্ন।সাম্প্রতিক কালে SONY DADC থেকে মুক্তি পাওয়া তার বাংলা গান “তোমাকে” ও হিন্দি গান “NADAN”ভালোই সাড়া ফেলেছে।তবে আজকের তমোঘ্নর কেরিয়ারের শুরুটা এত সহজ ছিলনা।প্রচুর রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতায় চার বছর বয়স থেকে অংশগ্রহণ করে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন।এমনকি ২০০৫ এ মুম্বাইতে ও কাটিয়েছেন কয়েকমাস।
নৈহাটির R.B.C কলেজ থেকে B.SC করার সাথে সাথে মাল্টিমিডিয়া নিয়ে ডিপ্লোমা করেন তমোঘ্ন।২০০০ সালে Engine Oil Talent Contestএ মুম্বইয়ের শেখর সুমনের হাত থেকে award লাভ করেন।এরপর বাংলা সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করার পর প্রচুর পরিশ্রম ,সংযমী জীবনযাপন,ভালো ব্যবহার আর নিজের কাজের মান বাড়িয়ে নিজেকে ধরে রেখেছেন।একাধারে সুরকার, গীতিকার,গায়ক,সাউন্ড ডিজাইনার,সংগীত প্রযোজক তমোঘ্ন মনে করেন বাংলা সঙ্গীতের মান ক্রমশই নিম্ন হচ্ছে।তিনি মনে করেন বাংলায় নিম্নমানের কাজ নিয়ে বেশী মাতামাতি করা হয় ।