বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোটের পূর্বে প্রচার ঝড়, আর নির্বাচন মিটতেই সন্ত্রাসের দামাম বেজেছিল গোটা বাংলা (west bengal) জুড়েই। বাংলায় ডবল ইঞ্জিনের সরকার গড়ার স্বপ্ন, কার্যত ৭৭-ই আটকে যায় বিজেপির (bjp)। একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে বাংলার মসনদে আবারও ফিরল তৃণমূল (tmc) শিবির।
তবে নির্বাচন মিটতেই হিংসা ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের কর্মী সমর্থকদের উপর মারধর করে, ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। এখনও ঘর ছাড়া কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী সমর্থক। আবার কিছু কিছু জায়গায় বিজেপি কর্মীদের ঘরে ফিরতে হলে, মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের।
এই পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির তৈরি করল রাজগঞ্জের (rajgaunj) রাধাকৃষ্ণ মন্দির। সেখানেই আশ্রয় নিলেন সংখ্যালঘু বিজেপি নেতারা। এই মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায় এবং বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু।
এবিষয়ে সায়ন্তন বসু জানান, ‘নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই জলপাইগুড়ির বহু বিজেপি সমর্থকরা ঘর ছাড়া রয়েছে। এখনও বহু মানুষ তৃণমূলের চাপে বাড়ি ফিরতে পারেননি। ধর্মে মুসলিম হয়েও বিজেপি করার অপরাধে, ঘরছাড়া হয়ে এই মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছেন ১৩ জন কর্মী। প্রাণের ভয়ে তাঁরা বাড়িও ফিরতে পারছেন না, আর নামাজও পড়তে পারছেন না। পুলিশ সুপারকে ফোন করেও কিছু হচ্ছে না। বাংলায় শাড়ি পরে মুসলমানি সরকার আর চালাতে দেব না’।
অপরদিকে বিজেপি নেতার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জলপাইগুড়ির তৃণমূল জেলা সভাপতি কৃষ্ণ কুমার কল্যাণী জানিয়েছেন, ‘সায়ন্তন বসুর করা মন্তব্যের আমি কোন প্রতিক্রিয়া দেব না। যেখানে বিজেপি জয়লাভ করেছে, সেখানে আবার তৃণমূলের উপর অত্যাচার চলছে। ওদের সমস্ত অভিযোগ সাজানো’।