বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘পাঠান’ (Pathan) মুক্তির পর তিন দিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় বিক্ষোভ থামার নাম নিচ্ছে না। শাহরুখ খানের (Shahrukh Khan) নতুন ছবিটির মুক্তি আটকাতে অনেক দিন ধরেই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে নানান হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনগুলি। পাঠান চললে প্রেক্ষাগৃহ জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তবুও বেশিরভাগ জায়গায় ছবি শুধু রিলিজই করেনি, রীতিমতো হাউজফুলও হয়েছে।
অনেক জায়গাতেই পুলিসি প্রহরায় চলেছে পাঠানের শো। তবে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে পুলিসের হাতের বাইরে চলে যায় পরিস্থিতি। প্রেক্ষাগৃহের বাইরে পয়গম্বরের নামে আপত্তিকর স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বজরং দলের বিরুদ্ধে। পালটা বিতর্কিত ‘সর তন সে জুদা’ স্লোগান দেয় স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দারা। পরিস্থিতি দাঙ্গার রূপ নেওয়ার উপক্রম হলে পুলিস নামে এলাকায়।
ওই ঘটনার পরেই এক মুসলিম ধর্মীয় নেতা খলিল-উর-রহমান বিষ্ফোরক মন্তব্য করেছেন শাহরুখ খানের ব্যাপারে। তাঁর বক্তব্য, পাঠান ছবিতে ইসলাম সম্পর্কিত কিছু নেই। বলিউডও মুসলিম নয়। ডানপন্থী সংগঠনগুলিকে তাঁর সোজাসুজি পরামর্শ, যদি সত্যিই তারা শাহরুখের ছবির বিরুদ্ধে হয়, তাহলে অভিনেতার বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গুলিতে উড়িয়ে দিক।
ওই মুসলিম ধর্মীয় নেতার স্পষ্ট বক্তব্য, শাহরুখ খানের সঙ্গে যা খুশি তাই করুক। কিন্তু পয়গম্বরের ব্যাপারে কেউ আপত্তিকর মন্তব্য করলে তা বরদাস্ত করা হবে না। ইন্দোরে দাঙ্গার পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নুপূর শর্মার প্রসঙ্গ তুলে ওই ব্যক্তি দাবি করেন, তিনিই এই সব কিছুর জন্য দায়ী। সে সময়ে নুপূর শর্মাকে গ্রেফতার করা হলে আজ এই পরিস্থিতি তৈরি হত না। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, যারাই পয়গম্বরের নামে আপত্তিকর মন্তব্য করবে সবাইকে MCOCA আইনের আওতায় গ্রেফতার করা উচিত।
বুধবার ইন্দোরে খণ্ডযুদ্ধের পরিস্থিতি হয় বজরং দলের সদস্য এবং স্থানীয়দের মধ্যে। স্থানীয় তথা ছবি দেখতে আসা দর্শকদের অভিযোগ, পয়গম্বরকে অসম্মান করে স্লোগান দেয় বজরং দল। এরপরেই পালটা সুর চড়ায় স্থানীয়রা। স্থানীয় মুসলিম বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত ‘সর তন সে জুদা’ স্লোগান দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে। দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় এলাকায়। তড়িঘড়ি নামানো হয় পুলিস।