বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিতরকের কেন্দ্রবিন্দুতে অবশ্যই নুসরাত জাহান একটা জায়গা করে নিয়েছে। আর ভোটে জেতার পর থেকে সেই বিতর্ক যেন পদ্ম পাতা থেকে কচুপাতায় ওপর ঘোরাফেরা করছে। কোন জায়গায় স্থির হতে পারছে না সেই বিতরকের বিষয়।
বস্তু ধর্ম রাজনীতি কখন যে এক জায়গায় এসে মিলিত হয়েছে তা বর্তমান সময় দেখলেই বোঝা যায়। আর তার রং মিশিয়ে চলছে এক ধরনের ঘোলাটে রাজনীতি। বিয়ের পর পার্লামেন্টে সিঁদুর ও মঙ্গলসূত্র পরে এসে তিনি যেভাবে শপথ নিয়েছেন, তাকে ইসলাম-বিরোধী বলে রায় দিয়ে ধর্মীয় নেতারা তার বিয়েকে অবৈধ বলে ঘোষণা করেছেন। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে চুপ থাকার নন।
নুসরাত নিজে অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্টে দাবি করেছেন, জাত-পাত-ধর্মের ঊর্ধ্বে তিনি ‘সবার জন্য যে ভারত’ তারই প্রতিনিধি এবং ধর্মবিশ্বাসে এখনও মুসলিম।
শপথবাক্য পাঠ করার পর থেকেই তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে।প্রথম কারণ, শপথ পরার সময় তার মাথায় ছিল সিঁদুর ও হাতে চূড়া, যা বিবাহিত হিন্দু রমণীর প্রতীক বলে ধরা হয়।
আর দ্বিতীয়ত তিনি শপথ শেষ করেন ‘বন্দে মাতরম’ বলে, যে স্লোগানকে অনেকেই ইসলাম বিরোধী বলে মনে করেন।
আর এবার তিনি ফেসবুক পেজে নিজের নবী দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে যে পোস্ট করেছেন তার মধ্যেই কি ভুল খুঁজে পেয়েছেন সমালোচকরা? তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে মুসলিম সমাজের অনেকাংশ যে তার ওপর অনেকটাই ক্ষিপ্ত তা সেই বিবৃতি গুলো দেখলেই বোঝা যায়। একাধিক বিবৃতিতে দেখা যায় তার ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছে মুসলিম জনসাধারণ কিন্তু নুসরাত যেখানে জাতি ধর্ম বর্ণ বিদ্বেষের উপরে উঠে সমাজকে এক নতুন বার্তা দিতে চেয়েছে সেখানে মানুষের মধ্যে এমন মনোভাব পোষণ করা কিসের দায়? তাই বুঝে উঠতে পারছেনা অনেকে।