বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ইদের (eid) জন্য লকডাউন শিথিলের কোন প্রয়োজন নেই, এমনটাই জানাল বাংলার মুসলিম সমাজের একাংশ। সম্প্রতি ইদের জন্য লকডাউনে ছাড় দেওয়ায় কেরল সরকারের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারছে না বাংলার মুসলিম সমাজের একাংশ।
এপ্রসঙ্গে রেড রোডে ইদে নামাজ পড়ানো কাজী ফজরুর রহমান বলেন, ‘কেরলের বর্তমান পরিস্থিতির কথা আমি জানি না। তবে এই পরিস্থিতিতে কোন উৎসবের ক্ষেত্রেই কোনরকম শিথিলতা দেখানো ঠিক নয়’। অন্যদিকে লেখক আলিমুজ্জামান এই বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের দেশে সবসময় ধর্মটাকেই বড় করে দেখা হয়। তবে ইদ হোক কিংবা পুজো, এই পরিস্থিতিতে কোনভাবেই কোন কিছুর জন্য বিধি নিষেধ শিথিল করার প্রয়োজন নেই। সাময়িক আনন্দের জন্য বৃহত্তর ক্ষতির কোন মানে হয় না’।
করোনা আবহে ইদের জন্য রাজ্য সরকার বিশেষ কোন ছুটি ঘোষণা না করলেও, এতে বিন্দুমাত্র ক্ষুব্ধ নয় বাংলার মুসলিম সমাজ। এই পরিস্থিতিতে লকডাউনে কোনরকম ছাড় দাবি করেনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। তাঁদের কথায়, ‘মানুষকে আগে ঠিকভাবে বেঁচে থাকতে হবে, তারপর সব কিছু। তবে মানুষই যদি ঠিক না থাকে, তাহলে ইদ, পুজো, বড়দিন কোনকিছুরই কন মানে থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে কেরলে ইদের ছাড় না দেওয়াই উচিৎ ছিল সরকারের’।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ঘোষণা করেন বকরিদ উপলক্ষ্যে ১৮, ১৯ এবং ২০ শে জুলাই রাজ্যে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে আরও বলেছেন, সাপ্তাহিক লকডাউন যেমন চলছে, তেমনই চলবে। তবে ইদের কারণে শুধুমাত্র রবিবার থেকে পরপর তিনদিন খোলা থাকবে দোকান বাজার। এমনকি ধর্মীয় স্থানগুলিতে একসঙ্গে ৪০ জন করে মানুষ গিয়ে প্রার্থনাও করতে পারবেন।