বাংলা হান্ট ডেস্ক : তুলকালাম জব্বলপুর। এই জেলার জেলা শাসকের দফতরে ঘটে গেল তুমুল কাণ্ড। এক প্রেমিক যুগলকে মেলাতে তৎপর হল জেলা প্রশাসন। ছেলে এবং মেয়ে দুই পরিবার থেকেই আপত্তি ছিল বিয়েতে (Muslim Girl Married Hindu Man)। কিন্তু বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয় কালেক্টর অফিসে। দুই পক্ষের পরিবারকে ঠেকাতে হাজির ছিল বিরাট পুলিস বাহিনী।
পুলিস সূত্রে খবর, নয়া মহল্লা একালার বাসিন্দা মুয়িনা খান এবং গোরক্ষপুরের বাসিন্দা আয়ুষ কেয়ট দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্কে ছিলেন। একে অপরকে বিয়েও করতে চান। কিন্তু ভিন্ন ধর্মের হওয়ার তাঁদের বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না দুই পরিবার।
তবে পরিবারের হাজারো আপত্তি সত্বেও, চিড় ধরাতে পারেনি তাঁদের সম্পর্কে। অবশেষে তাঁরা সিদ্ধন্ত নেন বিয়ে করার। সাহায্যের আশায় দারস্থ হন প্রশাসনের। প্রশাসনও আশ্বাস দেয় পাশে থাকার। সেই মতোর জেলা শাসকের অফিসেই হয়ে গেল তাঁদের আইনি বিবাহ। তাঁদের নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন ছিল বিরাট পুলিস বাহিনী।
এরই মধ্যে হাজির হয় মেয়ের পরিবারের লোকজন। কিন্তু, কোনও রকম অশান্তি এড়াতে তৈরি ছিল পুলিস। বিয়ের পরও মেটেনি দায়িত্ব। বিয়ে সম্পদ হওয়ার পর সুরক্ষিত ভাবে তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় শ্বশুর বাড়ি।
তাঁদের বিয়ের খবর শুনেই এলাকায় হাজির হয় হিন্দু সংগঠনগুলি। তারাও দলবল নিয়ে হাজির হয় সেখানে। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর তারাই নবদম্পতিকে সুরক্ষিত ভাবে পৌঁছে দেয়।
সম্প্রতি, উত্তরাখণ্ডে এক মুসলিম যুবকের সঙ্গে বিজেপি নেতা যশপাল বেনমের মেয়ের বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেক কট্টরপন্থী বিজেপি নেতাও তাঁর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এ বিষয়ে তিনি তাঁর নিজের দলের সদস্যদের ভর্ৎসনা করে বলেছেন, ভুলে গেলে চলবে না যে এটা ২১ শতক। আমাদের সন্তানদের তাঁদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে।
যশপাল বেনাম পাউরি গাড়ওয়াল পুরসভার চেয়ারম্যান। আগামী ২৮ মে আমেঠির পুরেবাজ গ্রামের মহম্মদ মনীশের সঙ্গে তাঁর মেয়ে মনিকার বিয়ে হতে চলেছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য বেনমের স্ত্রী উষা রাওয়াতের পক্ষ থেকে অতিথিদের আমন্ত্রণ পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে। বিয়ের সেই কার্ডও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরই একের পর এক কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। মুসলিম যুবকের সঙ্গে হিন্দু মেয়ের বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপিরই অনেক নেতা।