বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) নৈনিতাল (Nainital) জেলার হলদওয়ানি (Haldwani) এলাকা থেকে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এক মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তি একটি গরুর উপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে। খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায় গোরা জেলা জুড়ে। ফুঁসে ওঠে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ওই যুবককে গ্রেফতারের দাবি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কী ঘটেছে ঘটনা? হলদওয়ানি এলাকার কমালুঅঙ্গজাতে এক মুসলিম যুবক একটি গরুকে ঘর্ষণ করছিল। সেই সময়ই স্থানীয় মানুষের নজরে পড়ে যায় সে। এলাকাবাসীর হাতে ধরাও পড়ে যায় ওই ব্যক্তি। এরপরই খবর জানাজানি হয়। ঘটনাস্থলে হাজির হয় হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। গ্রেফতার করতে হবে ওই যুবককে, এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ওই সংগঠনের সদস্যরা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় হাজির হয় বিরাট পুলিস বাহিনী। গ্রেফতার হয় ওই যুবক। তারপর ধীরে ধীরে শান্ত হয় এলাকা। পুলিস জানিয়েছে একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় তার জন্য এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিরাট পুলিস বাহিনী।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠন জানিয়েছে, বাচ্চী নগর গ্রামে এক পশুপালক মাঠে তাঁর পশুগুলিকে বেঁধে রেখেছিল। সেখানে হাজির হয় হাফিজ নামের ওই যুবক। পুশগুলির সঙ্গে অনৈতিক কাজ শুরু করে সে। এই ঘটনা এলাকাবাসীর চোখে পড়ে যায়। সকলেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। অশান্তির ভয়ে বন্ধ হয়ে যায় আশপাশের দোকানগুলিও। এরপর পুলিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। বছর খানেক পশ্চিমবঙ্গেও ঘটে যায় এমনই এক ঘটনা। এমনই এক জঘন্য অপরাধের অভিযোগ ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনা নামখানা ব্লকের উত্তর চন্দনপিঁড়ি এলাকায়। এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক গরুর মালিক। তার ভিত্তিতে পুলিস অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। ধৃতের নাম প্রদ্যোৎ ভুঁইয়া। এমন ঘটনায় যুবকের সমালোচনায় সরব হন এলাকাবাসী। একইসঙ্গে এই জঘন্য কাজের জন্য তার শাস্তিরও দাবি জানান তাঁরা।
অভিযোগ, ওই যুবক রাতের অন্ধকারে প্রতিবেশীর গোয়ালে ঢুকে এবং তারপরে গরুটিকে ধর্ষণ করে। পরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে গরুটির মৃত্যু হয়। প্রতিবেশী আরতি ভূঁইয়া ওই যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস তাকে গ্রেফতার করে। গতকাল ধৃতকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারায় মামলা রুজু করা হয়।