বাংলাহান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে জাত-পাত-ধর্ম সব মানুষেরই সৃষ্টি। সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপর নাই। মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এক মুসলিম (Muslim) ব্যক্তি এক কথা আরও একবার প্রমাণ করে দিলেন। সাম্প্রদায়িকতার বিভেদ ভেঙ্গে এগিয়ে গেলেন এক মহৎ কার্যে। বর্তমান সময়ে যা নজির সৃষ্টি করল।
ভিন্ন ধর্মের হওয়া সত্ত্বেও ভাইয়ের আসনে বসান
মহারাষ্ট্রের বোধেগাঁওর বাসিন্দা হলেন সবিতা ভুশারি। বহুকাল পূর্বেই স্বামী ছেড়ে চলে যাওয়ায় নিজের বাপের বাড়িতে দুই মেয়ে এবং এক ছেলে নিয়ে ফিরে আসেন সবিতা ভুশারি। সেখানেই কোনরকমে দিন কাটতে থাকে তাঁদের। মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের বাসিন্দা হলেন বাবাভাই পাঠান। সবিতা ভুশারির বাপের বাড়ির পাশেই থাকেন তিনি। নিজের কোন ভাই না থাকায় বাবাভাই পাঠানকেই নিজ ভাই রূপে স্বীকার করেন সবিতা ভুশারি।
দায়িত্ব নিলেন বিয়ে দেবার
সবিতা ভুশারির দুই মেয়েই বিবাহ যোগ্যা হয়ে ওঠে। কিন্তু তাঁদের অভাবের সংসার হওয়ায়, মেয়েদের বিবাহ নিয়ে চিন্তিত থাকেন মা সবিতা ভুশারি। এই সময় দেবদূতের মত পাশে এসে দাঁড়ায় ভাই বাবাভাই পাঠান। মুসলিম ধর্মের হওয়া সত্ত্বেও পাতানো দুই হিন্দু বোনঝির বিয়ের দায়িত্ব তুলে নেন মামা বাবাভাই পাঠান।
দুই বোনঝির বিয়ে দিলেন মামা
শুনতে অবাক লাগলেও, এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মহারাষ্ট্রবাসী। দুই মেয়ের মা সবিতা ভুশারির যতসামান্য আয়োজনকে সঙ্গে নিয়েই শুরু হল মেয়েদের বিয়ের কাজ। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বিয়ের সিংহভাগ খরচাটাই দিলেন মামা বাবাভাই পাঠান। মুসলিম ধর্মের হয়েও এই দুই মেয়ের হিন্দু রীতি মেনেই বিয়ের কাজ থেকে শুরু করে সম্প্রদান সবই করলেন মামা বাবাভাই পাঠান।