অযোধ্যা বিতর্কে রায় আসার আগে সকল ধর্মগুরু বলেছিলেন, যা রায় আসবে তা মাথা পেতে নেবেন। কিন্তু রায় সামনে আসতেই কট্টরপন্থীরা উস্কানিমূলক ভাষণ দিতে শুরু করেছে। আসাউদ্দিন ওয়েসী বলেছিলেন তিনি রাম মন্দির নিয়ে আদালতের দেওয়া রায়তে সন্তুষ্ট নন। একইসাথে আসাউদ্দিন বলেন, যে উনার বাবরি মসজিদ ফেরত চাই। মূলত মুসলিমদের উস্কানি দেওয়ার জন্য আসাউদ্দিন ওয়েসী একথা বলেছেন। অযোধ্যার রায় ঘোষণার পরে মুসলিম আলেমরা এখন ওয়েসীকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন।
অযোধ্যা ও তার পাশাপাশি থাকা মুসলিম ধর্মগুরুরা ওয়েসীকে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। বেরেলি থেকে এক মৌলিবী বলেছেন মুসলিমরা তাদের ভালো খারাপ জানে, তাই উস্কানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। মুসলিমদের যেন ওয়েসী বিভ্রান্ত করার চেষ্টা না করে এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন মুসলিম ধর্মগুরুরা। তানজিম উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভী প্রেসকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, অযোধ্যা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের যে সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল তা চলে এসেছে।
আসাদউদ্দিন ওয়েসী নিজেই মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য, আমরা তাকে পরামর্শ দিতে চাই যে উত্তরপ্রদেশের মুসলমানরা নিজেরাই বুদ্ধিমান ও সচেতন। তাকে প্ররোচিত করার চেষ্টা করবেন না, হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে যে বিদ্বেষ এবং ভ্রাতৃত্ব এবং সম্প্রদায়গত ঐক্যের অবসান ঘটছে তা ক্ষতি করবেন না। দিল্লিতে মুসলিম সংগঠনের বৈঠকে প্রত্যেকেই একমত হয়েছিল যে আমরা আদালতের দেওয়া সিদ্ধান্ত মেনে নেব। তবে এই সিদ্ধান্তের দু’দিন পরে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড তাদের বিবৃতি থেকে দ্বিমত পোষণের বিষয়ে আলোচনায় সরে যায়। এটার আমরা তীব্র নিন্দা করি।
উনি বলেন, যদি মতবিরোধ চলতে থাকে তবে কেন বোর্ড প্রতিনিধি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সম্মতি ঘোষণা করলেন? ওয়েসি হায়দরাবাদের এমপি, তাই কেবল সেখানকার লোকদের ইস্যু নিয়ে কথা বলুন। মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভী আরও বলেছিলেন যে মসজিদটি কোথায় নির্মিত হবে এবং এর রূপ কী হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার ওয়েসীর নেই। সুতরাং, এটিতে কোনও বক্তব্য রেখে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করবেন না। সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মসজিদ দল ইকবাল আনসারী এবং হাজী মাহবুব আলীকে এই অধিকার প্রদান করেছে।
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর