বাংলাহান্ট ডেস্ক : ব্রিটেনে এক দশকে মুসলিম জনসংখ্যা (Muslim Population in Britain) বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪৪ শতাংশ। এই দেশের মোট জনসংখ্যার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। সেই হিসাবে যুক্তরাজ্যে বর্তমানে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ৩৯ লাখ। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ আদমশুমারির রিপোর্টে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
এ ছাড়াও যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৩ শতাংশই হল এশীয়, এশীয় ব্রিটিশ এবং এশীয় ওয়েলস। এটি এখন যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় সবচেয়ে সাধারণ জাতিগোষ্ঠী।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১১ সালের আদমশুমারির পর থেকে যুক্তরাজ্যে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে মুসলিম। লন্ডনের এখন দুই-তৃতীয়াংশই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ব্রিটেনের অন্য প্রধান শহর যেমন―লেস্টার, লুটন এবং বার্মিংহামেও দ্রুত গতিতে বাড়ছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এই শহরগুলিতে শহরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত এবং পূর্ব আফ্রিকা থেকে আসা এশিয়ান মানুষের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে।
২০২১ সালের আদমশুমারিতে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ পরিবারে এখন অন্তত দুটি ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্য রয়েছে, যা ৮.৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও পাঞ্জাবি এবং উর্দু যুক্তরাজ্যে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ কথিত ভাষায় পরিণত হয়েছে। দেশটিতে থাকা প্রায় পাঁচ লাখ ৬১ হাজার মানুষ এ দুই ভাষায় কথা বলে।
আদমশুমারির উপপরিচালক জন রথ-স্মিথ বলেন, ‘আমরা যে ক্রমবর্ধমান বহুসংস্কৃতির সমাজে বাস করি, আজকের তথ্যগুলো সেটিই তুলে ধরে। ‘শ্বেতাঙ্গ’ জাতিগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত ইংরেজ, ওয়েলস, স্কটিশ, উত্তর আইরিশ বা ব্রিটিশদের সংখ্যা কমছে।’