বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েক বছর ধরেই একাধিক মুসলিম ধর্মের মানুষ ফিরে আসছেন হিন্দু ধর্মে। গোটা দেশ জুড়েই চলছে এই ঘটনা। এবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) এমনই একটি ঘটনা সামনে এল। আরিফ খান নামের এক মুসলিম ব্যক্তি গ্রহণ করলেন হিন্দু ধর্ম। আরিফ খান থেকে হলেন আনন্দ ত্যাগী। মাথা মুড়িয়ে গেরুয়া বস্ত্র পরে রাজরাজেশ্বর মন্দিরে পুজোও করলেন তিনি।
মাস দুয়েক আগে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটে। হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন মুসলিম পরিবারের ৯ সদস্য। এদের মধ্যে ৭ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ। সম্পর্কে এরা ভাই-বোন হন। মুজফরনগরের সাহারানপুরে যশবীর আশ্রমে ধর্ম পরিবর্তন করেন তাঁরা। ছিলেন আশ্রমের মোহন্ত স্বামী যশবীর মহারাজ। শুধু ধর্ম পরিবর্তনই নয়, সেই সঙ্গে নিজেদের নামও বদলে ফেলেছেন তাঁরা। গত মাসে দিল্লি ও দক্ষিণ ভারত থেকে গণহারে হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের খবর আসে। এবার তার উলটো ঘটনা দেখা গেল যোগী রাজ্যে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সদ্য হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করা ওই পরিবারের সদস্যরাও।
ধর্ম পরিবর্তন করতে মুজফরনগরের সাহারানপুরের বাগরায় যশবীর আশ্রমের সঙ্গে যোগযোগ করে ওই পরিবার। সেই মতো আশ্রমের যোগ সাধনা কেন্দ্রে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। আচার্য মৃগেন্দ্র ব্রহ্মচারী সবাইকে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে শুদ্ধ করেন। তাঁদের গলায় স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা বিশেষ মালা পরানো হয়েছিল। পরে ভক্ত ভরে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করেন ওই মুসলিম পরিবারের সদস্যরা। যজ্ঞ শেষে ধর্ম পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে বলে আশ্রমের তরফে জানানো হয়।
মোহন্ত স্বামী যশবীর মহারাজ জানান, ‘এখনও পর্যন্ত মোট ২২৫ জন হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের আগের সরকারগুলির আমলে হিন্দুদের উপর নানান অত্যাচার করা হোত। যোগি আদিত্যনাথের আমলে সেই অত্যাচার বন্ধ হয়েছে। সেই কারণেই অনেকে আবার হিন্দু ধর্মে ফিরে আসছেন।’ ভবিষ্যতে উত্তরপ্রদেশের আরও অনেক মুসলিম পরিবার ইসলাম ছেড়ে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপর আবারও গতকালকের মধ্যপ্রদেশের ঘটনা সামনে এল। ভারতে অধিকাংশ ধর্মান্তর হওয়া মুসলিমই নিজেদের পূর্ব ধর্ম সনাতনে ফিরে আসতে চাইছেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।