বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেশজুড়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে। ভারতে করোনার সংক্রমণের শীর্ষে অবস্থান করছে মহারাষ্ট্র (Maharashtra)। ক্রমাগত আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে সেখানে। এরই মধ্যে এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতের ঘটনার বিষয় প্রকাশ্যে আসতেই, তাজ্জব বনে গেল সকলেই।
মরদেহ নিতে অস্বীকার করে পরিবার
মহারাষ্ট্রের অকলের এক ধনী পরিবাররে এক প্রবীণ ব্যক্তি করোনা ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হয়ে মারা গেলে, তাঁর পরিবাররে লোকজন তাঁর মরদেহ নিতে অস্বীকার করে। বর্তমানে আর পাঁচটা মৃত ব্যক্তির সৎকারের থেকে করোনায় মৃত ব্যক্তিকে অনেক নিয়ম কানুন মেনে সৎকার করতে হচ্ছে। সংক্রমণের ভয়ে সরাসরি ওই মৃত ব্যক্তির কাছে কাউকে যেতে নিষেধও করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় মারা যাওয়ার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পরও পরিবারের লোকজন ওই মৃত ব্যক্তির মরদেহ নিতে রাজি হয় না।
শেষমেশ সৎকার করল মুসলিম ব্যক্তিরা
পৌর কর্পোরেশনের তরফ থেকে তাঁদের পিপিই কিট দেওয়ার কথা বললেও, তারা মরদেহ নিতে নারাজ ছিল। শেষমেশ দেহ সৎকারের দায়িত্ব তুলে নিল পৌর কর্পোরেশনের কাঁচা মেমন জামায়াত ট্রাস্টের জাভেদ জাকারিয়া এবং তার সমস্ত কর্মীরা। মুসলিম ধর্মের মানুষ হলেও, তারা সম্পূর্ণ হিন্দু নিয়ম রীতি মেনেই শ্মশানে গিয়ে মুখাগ্নি করল ওই করোনা মৃত ব্যক্তির। দিল মানবতার পরিচয়।
স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত রাজুরকর জানান, ”মারা যাওয়ার পর ওই প্রবীণ ব্যক্তির পরিবাররে লোকজন তাঁর মরদেহ নিতে এগিয়ে না আসলে, জাভেদ জাকারিয়া এবং অকলার কাঁচি জামাত ট্রাস্টের সহযোগীরা উদ্যোগ নিতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করে। আস্থার যে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়, সেটিকেও পরবর্তীতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে”।