বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিজেপি (BJP) সাম্প্রদায়িক! এই দাবি বিরোধী দলের দীর্ঘদিনের। কিন্তু এবার যেটা ঘটল তাতে এই সাম্প্রদায়িকতার হাতিয়ার এবার ভোঁতা হতে চলেছে। বিগত সপ্তাহে রামনবমীর মিছিলকে (Violence In Ram Navami) ঘিরে দেশের একাধিক রাজ্যে সৃষ্টি হয় হিংসার পরিস্থিতি। এই প্রসঙ্গে গতকাল বিশিষ্ট মুসলিম নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। জমিয়ত উলেমা-ই হিন্দের সভাপতি মৌলানা মাহমুদ মাদানি এবং সংগঠনের সচিব নিয়াজ ফারুকির নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দল অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন।
এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন অল ইন্ডিয়া পার্সোনাল ল’বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুকিও। বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে নিয়াজ ফারুকি বলেন। ‘এক অন্য অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছি আমরা।’ তাঁর কথায়, রাজনীতিক অমিত শাহের সঙ্গে ব্যক্তি অমিত শাহের বিস্তর ফারাক রয়েছে। মুসলিম প্রতিনিধি দলের সদস্যরা জানান, যে ভাবে অমিত শাহ তাঁদের বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন। অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা খুশি বলেও জানান মুসলিম বিশিষ্টজনেরা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, অমিত শাহের কাছে মুসলিম প্রতিনিধি দল মোট ১৪টি সমস্যার বিষয় উত্থাপন করেন। এরই সঙ্গে, রামনবমী উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যের একাধিক জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর ঘটনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। জানা যায়, প্রতিনিধি দলকে অমিত শাহ আশ্বাস দেন যে ধর্ম ও দলের রং না দেখে অপরাধীদের গ্রেফতার করা হবে।
বৈঠক শেষে নিয়াজ ফারুকি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাকে আমরা রাজনৈতিক বক্তৃতা দিতে দেখি, তার থেকে এই অমিত শাহ একেবারে আলাদা ছিলেন। তিনি আমাদের উদ্বেগে সাড়া দিয়েছেন। তিনি আমাদের কথা বিস্তারিত ভাবে শুনেছেন। তিনি কোনও সমস্যার কথাই অস্বীকার করেননি।’
রামনবমীর হিংসার অধিকাংশ ঘটনাই অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যে ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহারের মতো রাজ্যে বিজেপি অভিযোগ করেছে যে রামনবমীর মিছিলে হামলা চালানো হয়েছে। অপরদিকে, বিরোধীদের দাবি, ধর্মের নামে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে ইচ্ছে করেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছে বিজেপি। এই সবের মধ্যেই বিহারের নালান্দায় এক মাদ্রাসায় আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে প্রতিনিধি দল অমিত শাহের কাছে নালিশ করেন।