বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিহারে জাতিগত গণনার রিপোর্ট কতটা প্রভাব ফেলতে চলেছে লোকসভা নির্বাচনে, তাই নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে চলছে আলাপ আলোচনা। বিজেপি অবশ্য আশাবাদী ফের একবার দেশে ক্ষমতায় আসতে চলেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ওপিনিয়ন পোলও আরম্ভ হয়ে গেছে লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।
একটি পোলে সম্প্রতি জিজ্ঞাসা করা হয় দেশের সংখ্যালঘুর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকে দেখতে চাইছেন? এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটি সমীক্ষায় দেশের ৫২% সংখ্যালঘুরা আগামী দিনে রাহুল গান্ধীকে দেখতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। নরেন্দ্র মোদিকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইছেন মাত্র তিন শতাংশ মানুষ।
আরোও পড়ুন : বিধ্বংসী বন্যা প্রাণ কাড়ল ১১ জনের, নিখোঁজ ৮৪! সিকিম জুড়ে শুধুই হাহাকার
আবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন ৮% সংখ্যালঘু। আবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যোগ্য মনে করছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৬% মানুষ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন ১৪% মানুষ। ৮% সংখ্যালঘু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের কথা বলেছেন।
৫% সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ আসাদুদ্দিন ওয়েসিকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে যোগ্য মনে করছেন। অন্যদিকে চার শতাংশ মানুষ চাইছেন বিকল্প কোনও মুখকে। এই ওপিনিয়ন পোলে দলিত সম্প্রদায়ের মানুষদেরকেও প্রশ্ন করা হয়, তারা আগামী দিনে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে কাকে দেখতে চাইছেন?
আরোও পড়ুন : দুর্দান্ত ফিচারস্, অনবদ্য এই ফোনগুলো Flipkart, Amazon-এ পাবেন খুব সস্তায়! মেনে চলুন এই টিপস
দলিত সম্প্রদায়ের দশ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন মায়াবতির পক্ষে। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই ভবিষ্যতের দেশপ্রধান হিসেবে চাইছেন ৫৮ শতাংশ দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ। ২০% দলিত সম্প্রদায়ের মানুষের ভোট রয়েছে রাহুল গান্ধীর পক্ষে। মল্লিকার্জুন খাড়গেকে ২% মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন।
দলিত সম্প্রদায়ের দশ শতাংশ মানুষ চাইছেন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে অন্য কাউকে। পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদিকেই তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করতে চাইছেন OBC সম্প্রদায়ের ৬৪ শতাংশ মানুষ। মাত্র ১৫ শতাংশ মানুষ রাহুল গান্ধীকে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে। ৩% OBC সম্প্রদায়ের মানুষ নীতিশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রীর পদে দেখতে চান। এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে ১২টি রাজ্যের ৪৮ লোকসভা কেন্দ্রে।