নিমেষে দূর হবে ক্লান্তি! ভারতের এই ৫ অচেনা শহরে গেলেই আর ফিরতে চাইবে না মন

বাংলা হান্ট ডেস্ক: শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা ঘুরতে যাওয়ার জন্য ভ্রমণ-পিপাসুদের আলাদা কোন মরসুমের দরকার পড়ে না। তাই বেড়ানোর কথা শুনলে সব সময় দু’পা বাড়িয়েই  থাকেন পর্যটকরা। বিশেষ করে পাহাড় (Hill Station) প্রেমীদের কাছে যে-কোনো পাহাড়ি এলাকাই (Hill Station) স্বর্গের সমান। তবে কলকাতাবাসীর কাছে পাহাড় মানে প্রথমেই আসে, চির পরিচিত শৈল শহর দার্জিলিং-এর নাম।

যদিও এছাড়াও রয়েছে সিমলা-মানালির মতো বেশ কিছু পাহাড়ি এলাকাও। যা পাহাড় প্রেমীদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু আজ আপনাদের জানাবো ভারতের এমন কিছু পাহাড়ি এলাকার (Hill Station) নাম যা সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত খুব বেশি পর্যটকরা জেনে উঠতে পারেননি। তাই পূজোর ছুটিতেই যদি কারো ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান থাকে তাহলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন ভারতের এই ৫ অপরিচিত পাহাড়ি এলাকা (Hill Station) থেকে।

   

ভারতের এই ৫ অপরিচিত পাহাড়ি এলাকা (Hill Station):

জিরো ভ্যালি (Zero Valley):

Zero Valley

এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মোড়া, অরুণাচল প্রদেশের জিরো ভ্যালি। এখানকার সবুজ ল্যান্ডস্কেপ, ধানের ক্ষেত এবং পুরনো ঐতিহ্যের ধারক এবং বাহক আপতানীর মতো আদিবাসী সংস্কৃতি এখানকার পর্যটকদের কাছে মূল আকর্ষণ। এখানকার অনন্য কৃষি সংস্কৃতি, আর জীব বৈচিত্রের জন্য ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃতিও দিয়েছে। জিরো ভ্যালিতে ঘুরতে আসা পর্যটকরা এখানকার মনো-মুগদ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের পাশাপাশি আদিবাসীদের  জীবনযাত্রা সামনে থেকে দেখার সুযোগ পান।

চোপ্তা (Chopta):

Chopta

এছাড়াও এই অফবিট পাহাড়ি এলাকার মধ্যে রয়েছে উত্তরাখণ্ডের গাড়ওয়াল হিমালয়ের মাঝখানে অবস্থিত চোপ্তা। এখানে একবার ঘুরতে গেলে ফিরতেই আর মন চাইবে না কারও। পাইন, দেবদারু আর  রডোডেনড্রনের ঘন বনে ঘেরা চোপ্তার সৌন্দর্য্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। বিশেষ করা যারা অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী তাদের জন্য এখানকার নন্দা দেবী, ত্রিশূল এবং চৌখাম্বা সহ তুষার-ঢাকা পর্বত একেবারে স্বর্গ। এখানেই রয়েছে  বিশ্বের সর্বোচ্চ শিব মন্দির তুঙ্গনাথ ভ্রমণের বেস ক্যাম্পও।

আরও পড়ুন: ভারতের ৬ টি সবথেকে ব্যায়বহুল শহর! কলকাতা কত নাম্বারে জানেন?

কৌশানি (Kaushani)

kaushnai

উত্তরাখণ্ডের কৌশানির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নিয়ে নতুন করে আর কিছুই বলার প্রয়োজন নেই। পর্যটকদের কাছে কুমায়ুন অঞ্চলের ১,৮৯০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত, কৌশানির মূল আকর্ষণই হল নন্দা দেবী, ত্রিশূল এবং পাঁচচুলির মতো পর্যটনস্থল। এছাড়াও চা বাগান কৌশানি গান্ধী আশ্রম এবং রুদ্রধারী জলপ্রপাতের সৌন্দর্য্য-ও দেখার মত। এখানকার তুষারাবৃত পাহাড় থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখলেই নিমেষে দূর হয়ে যায় সমস্ত ক্লান্তি।

তাওয়াং (Tawang)

Untitled1

তাওয়াং হল অরুণাচল প্রদেশের একটি অনাবিষ্কৃত পর্যটনস্থল। এখনকার বৌদ্ধ মঠ, হ্রদ এবং হিমালয় ল্যান্ডস্কেপের সৌন্দর্য্য দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।তাওয়াং ট্রেকিং, রিভার রাফটিং-এর অ্যাডভেঞ্চার করার সুযোগ দেয়।

কুন্নুর (Coonoor)

Conoor

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই তামিলনাড়ুও। বিশেষ করে নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্যে ঘেরা নীলগিরি পাহাড়ে অবস্থিত, কুন্নুর হল একটি মনোমুগ্ধকর হিল স্টেশন।  যা চা বাগান, সবুজ উপত্যকার জন্য পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের প্রিয় পর্যটনস্থল। প্রতিবেশী রাজ্য উটির থেকে অনেক কম ভিড় হয় কুন্নুরে। এটি একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট স্বীকৃত পাহাড়ি এলাকা।

Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর