কমছে সবজি, ডালের দাম! সস্তা হচ্ছে জ্বালানিও, বড় সুখবর আম জনতার জন্য

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুর্দান্ত সুসংবাদ দেশবাসীর জন্য। ২০২৩ সালের শুরু থেকেই ভারতে পাইকারি মূল্য সূচক (wholesale price index) নিম্নগামী হওয়ার সাময়িক স্বস্তি ফিরেছে আমজনতার মনে। জানুয়ারিতে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখলে বোঝা যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতির হার দু’বছরের সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। উৎপাদন সামগ্রী থেকে শুরু করে জ্বালানি বিদ্যুতের দামসহ আরোও অনেক কিছুর দাম কমেছে জানুয়ারি মাসে।

এখন প্রশ্ন হল কত কমেছে এই পাইকারি মূল্য সূচক ? আপনাদের জানিয়ে রাখা দরকার যে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৪.৯৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ১৩.৬৮ শতাংশ পাইকারি মূল্য সূচক ভিত্তিক মূল্যস্ফীতি ছিল। তবে জানুয়ারিতে খাদ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ২.৩৮ শতাংশে উন্নীত হলেও ২০২২ সালের ডিসেম্বরে খাদ্য সামগ্রীর মূল্যস্ফীতি ১.২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে যে, কয়েকটি পণ্যের দাম কমাই মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাওয়ার আসল কারণ।

খনিজ তেল, রাসায়নিক এবং এর পণ্য, টেক্সটাইল, অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস এবং খাদ্য পণ্যের দাম কমার কারণে মূল্যস্ফীতিতে বড়সড় বদল এসেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পাওয়ার জন্য এই পণ্যগুলিই সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলেছে। আমাদের রোজকার জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় ডাল, সবজি, তৈলবীজ সবই রয়েছে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ফেলা পণ্যের তালিকায়।

edible oil

পর্যালোচনাধীন মাসে ডালের মূল্যস্ফীতি ২.৪১ শতাংশ এবং সবজির দাম ২৬.৪৮ শতাংশ কমেছে। তৈলবীজের মূল্যস্ফীতি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ৪.২২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একই সময়ে, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে মূল্যস্ফীতি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ১৮.০৯ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ১৫.১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। উৎপাদিত পণ্যগুলিতে এটি ছিল ২.৯৯ শতাংশ, যেখানে এটি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৩.৩৭ শতাংশ ছিল।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

X