বাংলা হান্ট ডেস্ক : এইমুহুর্তে গোটা রাজ্যের নজরে যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া স্বপ্নদীপের মৃত্যুকান্ড। স্বপ্নের স্বপ্নমৃত্যুর ঘটনায় ফুঁসছে গোটা রাজ্য। দোষীরা তো বটেই পাশাপাশি গোটা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এখন আসামীর কাঠগড়ায়। অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতর সাজার কামনা করছে সাধারণ মানুষ। তবে এই বিষয়ে কী বলছেন অভিযুক্তদের পরিবার পরিজন?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, স্বপ্নদীপের মৃত্যুকান্ডে ইতিমধ্যেই ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যারমধ্যে একজন হলেন আসানসোলের ছেলে মহম্মদ আসিফ আজমল। তিনি যাদবপুরের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তার গ্রেফতারির খবর শুনতেই শোকে ভেঙে পড়েছে তার বাবা মা। ‘আমার ছেলে খুবই নিরীহ, ভুলেও কোনওদিন কারও ক্ষতি চায়নি, আসানসোলে যাকে ইচ্ছা জিজ্ঞাসা করতে পারেন’, এমনটাই দাবি করেছেন তার মা।
এই প্রসঙ্গে ধৃতের বাবা বলছেন, গতকাল রাতে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেও ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। পরে জানতে পারেন গ্রেফতার করা হয়েছে ছেলেকে। জানা যাচ্ছে আসিফরা মোট ৪ ভাইবোন। ইতিমধ্যেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে তার একমাত্র বোনের। বেশ কষ্ট করেই তাদের তিন ভাইকে পড়াশোনা করিয়েছেন তার বাবা। আর দিন কয়েক পরেই যাদবপুরে ক্যাম্পাসিং হওয়ার কথা ছিল। তবে তার আগেই এরকম একটা নৃশংস ঘটনায় জড়িয়ে গেল আসিফের নাম।
আরও পড়ুন : আজ শ্রীরামকৃষ্ণের প্রয়াণ দিবস, মৃত্যুর আগে এই বিশেষ জিনিসটি খেতে চেয়েছিলেন ঠাকুর
এই বিষয়ে আসিফের বাবা বলেন, ‘ওই ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না, বোনকে জানিয়েছিল। মেয়ে বলল, আসিফের শরীর ভাল নেই, ওকে বাড়িতে ডাক। আমরা আসিফকে বললাম মায়ের শরীর ভাল নেই, বাড়ি আয়। মা-কে দেখতে বাড়ি আসে। রাতে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমায়। আমার বলেছিলাম ২ দিন পরে যা, কিন্তু কথা শোনেনি, পরেরদিনই চলে গেল। পড়াশোনা আছে বলে চলে গেল।’ তবে স্বপ্নদীপের ব্যাপারে নাকি কিছুই জানায়নি বলে দাবি আসিফের বাবার।
আরও পড়ুন : ব্যারেজ খুলে দেওয়ায় হুহু করে ঢুকছে তিস্তার জল! ভারতের উপর চটে লাল বানভাসি বাংলাদেশ
তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত্রেও ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেও কথা হয় ছেলের সঙ্গে। এদিকে আসিফের মায়ের কথায়, ‘আমার ছেলে সবসময় সকলকে সাহায্য করেছে। পুলিশকে ও বলেছে, যা যা জানতে চান সবই বলব। আমার ছেলে একদম সৎ। আমায় নয়, আসানসোলের যাঁকে খুশি জিজ্ঞাসা করতে পারেন, ছেলে খুবই সরল ও সৎ। ভুলেও কারও ক্ষতি চাইবে না।’ আপাতত তারা এক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছেন বলে দাবি। কলকাতায় আসারও তোড়জোড় শুরু করেছেন বলে খবর।
আরও পড়ুন : আর কত দূর? বাকিদের ‘টাটা’ করে চাঁদের পথে ল্যান্ডার! শেষ কক্ষপথ পার করে গেল ‘চন্দ্রযান 3′
এদিকে একইরকম বক্তব্য ধৃত অসিত সর্দারের মায়ের গলাতেও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলীর এই ছেলে স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পরপরই বাড়ি ফিরে যায়। গতকালও সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরে। তারপর গভীর রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও পরিবারের এই মন্তব্য শুনে সহানুভূতি দেখাতে নারাজ রাজ্যের সাধারণ মানুষ। নেটিজেনদের দাবি, দোষী প্রমাণিত হলেই সবাইকে কঠোর থেকে কঠোরতর সাজা দেওয়া হোক। একইরকম বক্তব্য স্বপ্নদীপের অসহায় বাবা মায়েরও।