বাংলাহান্ট ডেস্ক : এই গোটা পৃথিবী এক রহস্যময় জগত। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রয়েছে কত না জানা কিছু। তার মধ্যে কিছু আমরা জানি, আবার কিছু জানিনা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি, বৈশিষ্ট্য, ধর্মীয় বিশ্বাস ভিন্ন। তবে তার মধ্যে এমন কিছু ঘটনা থাকে যা শুনলে আমাদের চমকে উঠতে হয়। আবার অনেকেই সেসব বিশ্বাস করতে চান না উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া।
বিষ্ময়কর ঘড়ি (Clock) আছে এই জায়গায়
আজ তেমনই একটি শহর সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি। এই শহরের ঘড়িতে (Clock) কখনো ১২টা বাজে না। জানেন কোথায় রয়েছে এই শহর? সাধারণত ঘড়িতে (Clock) থাকে বারোটা ডিজিট। তার উপর নির্ভর করে গণনা করা হয় সময়। তবে সুইজারল্যান্ডের (Switzerland) উত্তর পশ্চিমের শহর সোলোথার্নে এমন একটি ঘড়ি রয়েছে যেখানে কখনো ১২টা বাজে না।
আরোও পড়ুন : স্বস্তির খবর! শ্রাবণী মেলার ভিড় সামলাতে চলবে অতিরিক্ত ট্রেন, বিশেষ উদ্যোগ রেলের
এই ঘড়ির (Clock) কাঁটা ১১টাতেই শেষ। শহরের কেন্দ্রস্থল টাউন স্কয়ারের সামনে এই ঘড়ির দিকে তাকালে থমকে যেতে হয়। এই ঘড়িতে দেখতে পাওয়া যায় ১১ টি সংখ্যা। শুধু এই ঘড়ি নয়, সোলোথার্ন শহরের সাথে আশ্চর্যজনক ভাবে ১১ নম্বর সংখ্যাটির যোগ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এই শহরে রয়েছে ১১টি জাদুঘর, ১১টি গির্জা, ১১টি ঝরনা-সহ আরও অনেক কিছু। প্রায় দুই হাজার বছর আগে রোমানদের হাত ধরে পত্তন হয় সোলোথার্নে শহরের।
আরোও পড়ুন : Optical Illusion: এই ছবিতে অন্য ধরনের ইমোজিটি খুঁজে বের করাই চ্যালেঞ্জ! সময় মাত্র ৮ সেকেন্ড
সেই সময় এই শহর অবশ্য ততটা জনপ্রিয় ছিল না। তবে সময়ের সাথে কাকতালীয়ভাবে এই শহরের সাথে জুড়ে গেছে ১১ নম্বর সংখ্যাটি। ১২১৫ সালে সোলোথার্নে কাউন্সিল নির্বাচনে নির্বাচিত হন ১১ জন প্রতিনিধি। ১৪৮১ সালে সুইস কনফেডারেশনের ১১তম প্রদেশ হিসেবে যুক্ত হয় সোলোথার্ন। সেই সময় শহরের রক্ষাকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল ১১ জনকে। সেন্ট আরসুস গির্জা এই শহরে নির্মাণ হয় ১৫০০ শতকের প্রথম দিকে।
এই গির্জায় রয়েছে ১১টি দরজা, ১১টি জানলা, ১১টি সারি এবং ১১টি ঘণ্টা। এছাড়াও জানা যায় ১১ রকমের পাথর ব্যবহার করা হয়েছিল এই গির্জার নির্মাণে। ধারণা করা হয় এই শহরের সাথে প্রথম থেকেই ১১ নম্বর সংখ্যাটির যোগাযোগ রয়েছে, সেই থেকেই হয়ত এই শহরের ঘড়িতে রয়েছে রয়েছে ১১ টি সংখ্যা। কিন্তু এই ঘড়িতে ১২-র কাঁটা না থাকার ব্যাপারে বিশেষ কিছু জানা না গেলেও, এই ঘড়িটি পর্যটকদের বিস্মিত করে।