হাওড়ায় রেললাইনের পাশে মিলল আনিস হত্যার প্রতিবাদী বাম নেতার দেহ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও বাম নেতার রহস্যমৃত্যুতে চাঞ্চল্য হাওড়ায়। আমতার পর এবার আবাদা। রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল সিপিএম নেতার রক্তাক্ত দেহ। আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেওয়া এই নেতার এহেন মৃত্যুতে রহস্যই দেখছে পরিবার।সোমবার রাতে আবাদা স্টেশনের কাছেই রেললাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় সিপিএম নেতা সৌমেন কুন্ডুর দেহ।

বছর ৪০ এর ওই নেতা হাওড়ার ৫৮ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সিপিএমের ছোটো ভট্টাচার্য পাড়া শাখার সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু সোমবার দুপুর নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোনোর পর সন্ধ্যে নাগাদ শেষবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে পরিবার। এরপরই সোমবার গভীর রাতে স্টেশন সংলগ্ন রেললাইন থেকে ওই নেতার দেহটি উদ্ধার করে রেল পুলিশ। খবর দেওয়া হয় পরিবারকেও।

পরিবার সূত্রে খবর, বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ সৌমেন বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় জানান যে দুপুরে খেতে আসবেন না। সন্ধ্যে নাগাদ শেষবার তাঁর সঙ্গে কথা হয় পরিবারের। কিন্তু এরপরও গভীর রাত অবধি তিনি বাড়ি না ফেরায় মিসিং ডায়রি করা হয় চ্যাটার্জিহাট থানায়। ওই নেতার বাড়ি না ফেরার খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন এলাকার সিপিএম কর্মীরা। সিপিএমের সাউথ ইস্ট এরিয়া কমিটির সদস্য সন্দীপ কোলের দাবি, ‘সৌমেনের কোনো শত্রু ছিল না। ও দলের শাখা সম্পাদক ছিল। আনিস মৃত্যুর পর এলাকায় একটি মিছিলেও নেতৃত্ব দিয়েছিল ও।’

ইতিমধ্যেই পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে মৃত বাম নেতার পরিবার। তাঁদের দাবি, সৌমেনকে গভীর রাত অবধিও খুঁজে পাওয়া না গেলে প্রথমে তাঁরা মিসিং ডায়রি করেন চ্যাটার্জিহাট থানায়। সেখানে কোনোরকম সহায়তা করেনি পুলিশ। এরপর হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনারের অফিসেও যোগাযোগ করা হয়। ফোন করা হলে রিং বাজছিল সৌমেনের ফোনে। তাই পরিবারের তরফে পুলিশ কমিশনারের অফিসে আবেদন করা হয় মোবাইল ফোনটি ট্র‍্যাক করার জন্য। কিন্তু এখানেও পরিবারের অভিযোগ তা করতে রাজি হয়নি পুলিশ। শেষমেষ লালবাজারে যোগাযোগ করে ওই পরিবার।

সৌমেন কুন্ডুর মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ পরিবার। তাঁদের দাবি আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণেই মেরে ফেলা হল সৌমেনকেও। মৃতের দাদা জানিয়েছেন, মৃতের মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নাক দিয়েও রক্ত বেরোতে দেখা গেছে। আপাতত সৌমেন কুন্ডুর মৃত্যু রহস্য উন্মোচনের দাবিতে সরব পরিবার। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর আসল কারণ বোঝা যাবে এমনটাই জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর