বাংলাহান্ট ডেস্ক: চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে পাকিস্তান (Pakistan)। অর্থাভাবে মানুষ ঠিক মতো খেতে পাচ্ছেন না। এরই উপর এক অজানা রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে সে দেশে। এই অজানা রোগের প্রকোপে করাচির কেমারি অঞ্চলে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়ে ১৮ জনের। এর মধ্যে ১৪ জনই শিশু। করাচির স্বাস্থ্য আধিকারিকরা এখনও তাঁদের মৃত্যুর কারণ জানাননি। তবে মনে করা হচ্ছে, এই রোগের ফলেই মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। তবে কি ফের করোনার মতো কোনও এক মহামারি দেখা দিতে চলেছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টর আব্দুল হামিদ জুমানি গজানিয়েছেন, জানুয়ারির ১০ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে কেমারির মাওয়াচ গোথ এলাকায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনই শিশু। তিনি বলেন, “মৃত্যুর কারণ খুঁজতে চিকিৎসকদের একটি দল কাজ করছে। তবে আমাদের মনে হয়, এটি সামুদ্রিক জল সংক্রান্ত কোনও কারণের ফলে হয়েছে। যে গ্রামে এই মৃত্যুগুলি হয়েছে সেটি সমুদ্রের খুবই কাছাকাছি অবস্থিত।”
উল্লেখ্য, মাওয়াচ গোথ একটি বস্তি এলাকা যেখানে মানুষ মূলত দিনমজুরির কাজ করেন। এছাড়াও অনেকেই জীবিকা নির্বাহের জন্য মৎসজীবীর কাজও করেন। মৃতদের পরিবার সূত্রে খবর, মৃতুর আগে প্রত্যেকের মধ্যেই অতিরিক্ত জ্বর, গলা ফুলে যাওয়া ও শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। অনেকেই ওই এলাকা থেকে গত দু’সপ্তাহ ধরে একটি অদ্ভুত গন্ধ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে একজন কারখানার মালিককে আটক করা হয়। এমনই জানিয়েছেন কেমারির ডেপুটি কমিশনার মোখতার আলি আব্রো। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য পরিষেবা দফতরকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে ওই এলাকায় চলা তিনটি কারখানা থেকে নমুনা নিয়ে গিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। সিন্ধ সেন্টারের প্রধান ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন, কয়েকটি সোয়াবিনের কারখানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। সোয় অ্যালার্জি থেকে ওই ১৮ জনের মৃত্যু হয়ে থাকতে বলে মত তাঁর।
প্রসঙ্গত, হাওয়ায় সোয়াবিনের ধূলিকনা থেকে শরীরে মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। এটি অসুস্থতা এমনকী মৃত্যু অবধি ঘটাতে পারে। এছাড়াও বায়ুদূষণ ও আবহাওয়ারও বড় ভূমিকা রয়েছে এতে। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন ওই ১৮ জনের মৃত্যু হল, তা নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। তবে নমুনা পরীক্ষার পর তাঁদের মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে আশাবাদী তিনি।