ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এই মুহুর্তে এমন অনেক সংস্কার ছড়িয়ে আছে যার বিজ্ঞানের সাথে কোনো রকম সামঞ্জস্যই নেই। তবুও এখনো এই সব কথা বিশ্বাস করে সাধারণ মানুষ। এমনই একটি ধারনা বহুদিন ধরে ছড়িয়ে আছে এক পাহাড়কে ঘিরে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এই পাহাড়টি নাকি সনোগ্রাফি ছাড়াই গর্ভস্থ ভ্রুণের লিঙ্গ বলে দিতে পারে।
ঝাড়খন্ডের লোহারডাঙা অঞ্চলের খুকড়া গ্রামে এই পাহাড়টি অবস্থিত। স্থানীয়রা বলেন যে, তারা অনাগত সন্তানের ‘লিঙ্গ’ বের করতে সাধারণত সোনোগ্রাফির আশ্রয় নেন না। এখানকার লোকেরা কোনও অর্থ ব্যয় না করে এটি জানতে পারে। এই পরম্পরা এখানে কয়েক শতাব্দী ধরে চলে আসছে। বলা হয় যে এটি নাগাবংশী রাজাদের রাজত্বকাল থেকেই চলেছে।
জনশ্রুতি অনুযায়ী , এই পাহাড়টি গত ৪০০ বছর ধরে তাদের ভবিষ্যত সম্পর্কে অবহিত করেছে। এখানে একটি চাঁদের ছবি রয়েছে যা নবজাতকের ‘লিঙ্গ’ সম্পর্কে জানায়। গর্ভবতী মহিলারা এই পাহাড়ের চাঁদের দিকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে পাথর ছঁড়ে মারে। যদি সেক প্রস্তরটি যদি চাঁদের আকারের ঠিক মাঝখানে আঘাত করে তবে গর্ভে একটি ছেলে রয়েছে। আর যদি চাঁদের বাইরে তবে মনে করা হয় গর্ভে মেয়ে রয়েছে।
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি গর্ভের ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারণ ভারতে আইনত দন্ডনীয় অপরাধ৷ ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ণয় চালু থাকলে দেশে কন্যা ভ্রুণ হত্যা বেড়ে যাবে এই কারনে সরকার এটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ভ্রুণের লিঙ্গ নির্ধারনের অভিযোগে অভিযুক্ত ডাক্তার ও রোগীর পরিবারের জেল ও জরিমানা হয়ে থাকে।