১০ লক্ষ মাইল প্রতি ঘন্টা! মহাবিশ্বে ভয়ঙ্কর গতিতে ছুটছে এই রহস্যময় বস্তু, ঘুম উড়ল NASA-র বিজ্ঞানীদের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মহাবিশ্বের বিভিন্ন রহস্যের সমাধানের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। এমতাবস্থায়, প্রায়শই তাঁরা এমন কিছু তথ্য সামনে আনেন যেগুলি খুব সহজেই অবাক করে দেয় সবাইকে। মূলত, মহাকাশে এমন একটি শক্তিশালী বিষয় রয়েছে যেটি প্রতি ঘন্টায় ১০ লক্ষ মাইল বেগে একটি “নক্ষত্র”-কে ছায়াপথ তথা গ্যালাক্সির বাইরে ফেলে দিতে পারে। সম্প্রতি সিটিজেন সায়েন্টিস্টদের নতুন একটি আবিষ্কারে বিস্মিত NASA (National Aeronautics and Space Administration)-র বিজ্ঞানীরাও। তাঁরা একটি রহস্যময় পিণ্ড আবিষ্কার করেছেন। যেটিকে একটি বামন নক্ষত্র হিসেবে বিবেচিত করা হচ্ছে। সবথেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, ওই রহস্যময় পিণ্ড আমাদের গ্যালাক্সি Milky Way থেকে ভয়ঙ্কর গতিতে বাইরের দিকে ছুটে চলেছে।

অবাক NASA-র বিজ্ঞানীরা:

কিভাবে হল আবিষ্কৃত: এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, NASA-র ব্যাকইয়ার্ড ওয়ার্ল্ডস প্ল্যানেট 9 প্রকল্পে কাজ করার সময়ে টিমটি এই বিষয়টি আবিষ্কার করে। এতে, NASA-র WISE (Wide-field Infrared Explorer) মিশনের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে চলা এই মিশনে, আকাশকে ইনফ্রারেড আলোতে ম্যাপ করা হয়েছিল। যখন থেকে এই সন্ধানে NASA-র বিজ্ঞানীরা জড়িত হয়েছেন, তখন থেকে তাঁরা এই পিণ্ড সম্পর্কে আরও তথ্য পেয়েছেন।

mysterious object is running at a terrifying speed, NASA scientists are alert.

কি জানা গিয়েছে: উল্লেখ্য যে, ১০ লক্ষ মাইল প্রতি ঘন্টা… এত উচ্চ গতির মানে হল যে ওই পিণ্ডটি শীঘ্রই Milky Way-র মাধ্যাকর্ষণ থেকে মুক্ত হয়ে মহাকাশে প্রবেশ করবে। এদিকে, NASA-র বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত নন যে এই মহাজাগতিক পিণ্ডটি ঠিক কী? তবে এটি সম্ভবত একটি বাদামি রঙের বামন তারকা বলেই মনে করছেন তাঁরা। এগুলি এমন নক্ষত্র যেগুলি গ্রহের চেয়ে বড় কিন্তু তাদের ভর এত কম যে সেগুলি সূর্যের মতো দীর্ঘ সময়ের জন্য পারমাণবিক সংমিশ্রণ বজায় রাখতে পারে না।

আরও পড়ুন: এবার বিরাট ধামাকা Reliance-এর! এই সেক্টরে হচ্ছে ১,০০০ কোটির বিনিয়োগ, সবাইকে চমকে দিলেন আম্বানি

এদিকে, NASA-র গবেষকরা এই বস্তুটিকে CWISE J124909.08+362116.0 হিসেবে বিবেচিত করছেন। তাঁদের অনুমান, এই মহাজাগতিক পিণ্ডটি অন্য মহাকাশীয় বস্তুর সাথে সহাবস্থান করেছিল। কারণ এই ধরণের বাইনারি জোড়া Milky Way-তে সাধারণ বিষয়। সম্ভবত, সেটি একটি শ্বেত বামন নক্ষত্রের সঙ্গী ছিল যা পরবর্তীকালে সুপারনোভা হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: বড় অ্যাকশন সরকারের! সেপ্টেম্বরেই ফের বাড়বে DA, খুশির রেশ কর্মচারীদের মধ্যে

কোথা থেকে এসেছে: হাওয়াইয়ের মোনাকেয়ার ডব্লিউ এম কেক অবজারভেটরি থেকে প্রাপ্ত ডেটা অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এই দ্রুত উড়ন্ত বস্তুটি অনেক পুরনো। NASA-র আধিকারিকরা লিখেছেন যে, এটি “সম্ভবত আমাদের গ্যালাক্সির প্রথম প্রজন্মের নক্ষত্রের মধ্যে একটি।” যদি সেটি প্রকৃতপক্ষে একটি বাদামি বামন নক্ষত্র হয় তবে প্রথমবারের মতো বিশৃঙ্খল এবং উচ্চ-গতির কক্ষপথে এমন পিণ্ড প্রথম যেটি আমাদের গ্যালাক্সি থেকেও পালাতে সক্ষম।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর