বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার চলচ্চিত্র প্রেমীদের কাছে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনীত ‘৮০তে আসিও না’ ছবিটি খুবই জনপ্রিয়। এই ছবির একটি দৃশ্যে দেখা গিয়েছিল একটি পুকুরে ডুব দিতেই নিজের হারানো যৌবন ফিরে পেয়েছিলেন ৮০ পেরোনো ভানু। তবে সিনেমার এই ঘটনাই যেন ফিরে এল বাস্তবের মাটিতে, আরেকটু ভালো ভাবে বললে বাস্তবের ‘পুকুরে।’
হাওড়ার (Howrah) এক অবিশ্বাস্য পুকুর
হাওড়ার (Howrah) এই পুকুরে ডুব দিলেই মোটা মানুষ হতে পারেন রোগা। আবার রোগা মানুষ হয়ে উঠবেন মোটা। এমনকি মুক্তি মিলবে রোগব্যাধি থেকেও। গ্রামীন হাওড়ার বাগনান ব্লকের অন্তর্গত বাটুল গ্রামের ‘মোটাপুকুর’ এখন বেশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছে বিশ্বাসীদের কাছে। শুধু হাওড়া জেলা নয়, সারা রাজ্য থেকে মানুষজন ভিড় করেন এই পুকুরে (Pond)।
সারাবছর বিশ্বাসীদের ভিড় লেগে থাকে পুকুরে ডুব দেওয়ার জন্য। ভক্তদের বিশ্বাস, মা চন্ডির আশীর্বাদধন্য এই পুকুরে মানত করে ডুব দিলে পূরণ হয় মনস্কামনা। নতুন মা চন্ডির মন্দিরের পাশেই অবস্থান এই পুকুরের। মন্দির সংলগ্ন পুকুর পাড়ে পাকুর গাছে তেল-হলুদ মাখিয়ে স্নান করতে হয় পুকুরে।
আরোও পড়ুন : বছর শেষে মাত্র ২.২০ %! অবশেষে DA বাড়ল, জারি বিজ্ঞপ্তি
ভক্তরা মা চন্ডিকে পুজো দিয়ে মানত করেন। মানত করার পর ডুব দেন হাওড়ার (Howrah) এই পুকুরে। পূর্বে ভক্তরা পুঁটলিতে চাল পয়সা বেঁধে পুজোর অর্ঘ্য হিসাবে ভাসিয়ে দিতেন পুকুরে। এইভাবেই করা হয় মানত। তারপর ভক্তের মনস্কামনা যদি পূর্ণ হয় তাহলে তিনি ঢাক ঢোল কাসর ঘন্টা সহযোগে পুজো দেন আবার। স্থানীয় ভক্তরা জানিয়েছেন, চাল কুমড়ো ও লবণ পুজোর মূল উপকরণ।
সারাবছর দূরদূরান্তের ভক্তরা ভিড় করেন পুজো দেওয়ার জন্য। রবিবার করে পুকুরে ডুব দেওয়ার রেওয়াজ আছে। পূর্ণিমা তিথির রবিবারে সবথেকে বেশি ভক্তদের ভিড় দেখা যায়। বাগনান স্টেশন থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মোটাপুকুর। হাওড়ার বাগনান-শ্যামপুর রোডের বাঁটুল কলতলা অথবা নুনটিয়ায় নেমে হেঁটে বা টোটো সহযোগে পৌঁছে যেতে পারেন মোটাপুকুরে।