মহাদেবের শক্তির সামনে ব্যার্থ বিজ্ঞান, দিনে তিন বার রং বদলায় রহস্যময় শিবলিঙ্গ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিব (Shib) হলেন সর্বজনীন এবং পুরো বিশ্বজগতের কর্তা। সৃষ্টি-স্থিতি-লয়রূপ এই তিন কারণের উৎস তিনি। তিনি অন্ধকারের অতীত, আদি ও অন্তবিহীন দেব। দেবাদিদেব মহাদেব। হিন্দু দেবদেবীদের মধ্যে এক প্রধান দেবতা হলেন মহাদেব। হিন্দু মহিলারা শিবের মতো বর পাওয়ার আশায় বাবার মাথায় জল ঢালেন। বাবার আশির্বাদে তাঁদের শাফল্য প্রাপ্তি হয়। শিবলিঙ্গের মাথায় জল ঢেলে মানুষজন পূর্ণ্য অর্জন করে। বাবা মহাদেব কিন্তু পৃথিবীর সর্বত্রই পূজিত হন। shib 1

শিবলিঙ্গের মহিমা আমরা অনেক দেখেছি। সকল মানুষের কাছে পরম পূজনীয় এক ভগবান। তিনি খুব সামান্য ভক্তিতেই সন্তুষ্ট হয়ে যান। তাঁর ভক্তকূল সারা পৃথিবিতে ছড়িয়ে রয়েছে। শুদ্ধ মনে ভক্তি ভরে বাবার কাছে কিছু চাইলে, বাবা তাঁর ভক্তকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না। বাবা সকলেরই মনস্কামনা পূর্ণ করেন। সেই কারণে বহু মানুষ শিবরাত্রির করার পাশাপাশি তারকেশ্বরে গিয়ে বাবার মাথায় জল ঢেলে বাবাকে সন্তুষ্ট করেন। তবে রাজস্থানের ধৌলপুর জেলার অচলেশ্বর মহাদেব মন্দিরে এমন এক শিবলিঙ্গ আছে যা, দিনে তিনবার রং বদল করে। এই ক্ষেত্রে বিজ্ঞানও হার মেনে গেছে। এই ধৌলপুর জেলাটি রাজস্থান এবং মধ্য প্রদেশের সীমান্তে অবস্থিত।

shib

এই অঞ্চলটি চাম্বলের জলাশয়ের জন্যও বিখ্যাত। একসময় বিদ্রোহী ও দস্যুদের শাসন ছিল। এই উপত্যকাগুলিতেই অচলেশ্বর মহাদেবের মন্দির স্থাপিত হয়েছিল। এই মন্দিরের বৃহত্তম বৈশিষ্ট্য হ’ল এখানে অবস্থিত শিবলিঙ্গ দিনে তিনবার রঙ পরিবর্তন করে। এর রঙ সকালে লাল থাকে, তার পরে বিকালে জাফরান হয় এবং এই দুর্দান্ত শিবলিঙ্গ রাতে কালো হয়।

sjhibbbb

এই শিবলিঙ্গ সম্পর্কে আরও একটি বিখ্যাত জিনিস আছে যে এই শিবলিঙ্গের কোনও শেষ আজ অবধি পাওয়া যায় নি। আশেপাশের লোকেরা বলছেন যে বহু বছর আগে এই শিবলিঙ্গটি রঙ পরিবর্তন হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করার জন্য, এর শেষ দেখার জন্য খনন করা হয়েছিল। তখনই আবিষ্কার হয়েছিল যে এই শিবলিঙ্গের কোনও শেষ নেই। অনেক খননের পরেও এই শিবলিঙ্গ শেষ হয়নি। সেই থেকে এই শিবলিঙ্গের গৌরব আরও বেড়েছে।

mohadeb

তবে এই শিবলিঙ্গের কেন রঙ পরিবর্তন হয়, তা বিজ্ঞানও এখনও অবধি আবিষ্কার করতে পারেনি। এই পৃথিবীতে এমন অনেক মোহ মায়া আছে, যা বিজ্ঞানেরও সাধ্যের বাইরে, এটা তারই একটা জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর