মহাদেবের শ্বশুরবাড়ির কাছে রয়েছে এই বিখ্যাত ঘাট! যেখানে পিতৃ পুরুষদের শ্রাদ্ধ দিলে হয় স্বর্গবাস

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের ভারত (India) বড়ই বৈচিত্র্যপূর্ণ। নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, ঝর্না, বন কত কিছুই না রয়েছে। যতই বলা হোক না কেনো ততই ভারতের সৌন্দর্যর প্রশংসা কম পড়ে যায়। তেমনি রয়েছে বিশেষ কিছু ধর্ম নগরী। ঈশ্বরের টানে এই ধর্ম নগরীতে বারংবার ছুটে আসেন দর্শনার্থীরা। আর ধর্ম নগরীর কথা উঠলেই সবার আগে নাম আসে হরিদ্বার। অত্যন্ত পবিত্র একটি শহর হরিদ্বার। বিভিন্ন মন্দির থেকে শুরু করে, বড় বড় ঘাট এখানে অবস্থিত। তবে এই হরিদ্বারে রয়েছে বিশেষ একটি ঘাট। যেখানে পূর্ব পুরুষদের শ্রাদ্ধ দিলেই হয় স্বর্গবাস।

ভারতের (India) পবিত্র ঘাট:

মহাদেবের শ্বশুরবাড়ির কাছে অবস্থিত ঘাট: ইতিমধ্যেই চলছে পিতৃপক্ষ। আর এইসময় অনেকেই পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য পুজো করে থাকেন। মূলত এই পুজো করা হয় গঙ্গার ধারে থাকা ঘাটগুলিতে। আর পূর্বপুরুষদের পুজো করার জন্য অন্যতম ঘাট হচ্ছে দক্ষ ঘাট। কথিত আছে, এই ঘাটে পূর্বপুরুষদের তর্পণ কিংবা শ্রাদ্ধ দিলে স্বর্গলাভ হয়। আত্মার শান্তি হয়। আর এই ঘাটই অবস্থিত মহাদেবের শ্বশুরবাড়ির কাছে।

Mystery of Daksha Ghat India.

হরিদ্বার শহরের কানখালেই অবস্থিত অতি প্রাচীন এবং বিখ্যাত মন্দির দক্ষেশ্বর মহাদেব মন্দির। আর এই মন্দিরের কাছেই রয়েছে দক্ষ ঘাট। শুধু দেশ নয় বিদেশ থেকেও লক্ষ লক্ষ ভক্ত ভারতের (India) এই ঘাটে আসেন। তাঁরা এই ঘাটে স্নান করে, পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধ ও তর্পণ দিয়ে থাকেন।

আরও পড়ুন: তেন্ডুলকার-পন্টিংদের ক্লাবে যোগ দিলেন কোহলি! গড়লেন “বিরাট” নজির, জানলে আপনিও হবেন খুশি

দক্ষ ঘাট জুড়ে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনি: কথিত আছে যে, এই শহরটি ভগবান শিবের শ্বশুরবাড়ি এবং রাজা দক্ষর শহর। এখানেই ভগবান শিবের বিখ্যাত দক্ষেশ্বর মহাদেব মন্দিরে মহাদেবের সাথে সাথে রাজা দক্ষর ছিন্ন মস্তক পুজো করা হয়। যেহেতু এই মন্দিরের কাছে দক্ষ ঘাট রয়েছে। তাই বলা হয় মহাদেবের শ্বশুর বাড়ির কাছেই এই ঘাট অবস্থিত।

আরও পড়ুন: শেয়ার বাজারে ঝড়, সেনসেক্স পৌঁছল “All Time High”-তে, ৫.৬ লক্ষ কোটির লাভ বিনিয়োগকারীদের

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, কোনও ভক্ত যদি এই ঘাটে স্নান করে শিবকে জলাভিষেক করেন, তাহলে সেই ব্যক্তি পুণ্য লাভ করেন। এমনকি তাঁর সমস্ত মনের ইচ্ছা, কামনা-বাসনাও পূরণ হয়।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর