ভগবান বিষ্ণুর পদতলে ঠাঁই পেয়েছিলেন মহারাজ বলি, শস্যরোপণ উৎসবের দিন পাতাল থেকে আসেন প্রজাদের জন্য

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমাদের দেশ কৃষি প্রধান। কৃষিকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এই দেশের সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য কৃষি উৎসব। এই কৃষি উৎসবের সাথেই জড়িয়ে গিয়েছে একাধিক পৌরানিক কাহিনি। এই রকমই একটি কাহিনি জড়িয়ে আছে কেরালার প্রধান উৎসব ওনাম (onam) ও মহারাজ বলির (king bali)

পুরাণ অনুসারে বর্তমান কেরলে রাজত্ব করতেন অসুর রাজ বলি। অন্যান্য অসুরের মত তিনি অত্যাচারী ছিলেন না। তিনি ছিলেন প্রজাবৎসল। প্রজাদের আপন সন্তানের মতই লালন পালন করতেন মহারাজ বলি। প্রজাবৎসলতার পাশাপাশি তিনি ছিলেন দানবীর। তার কাছে দান চাইলে তিনি কাউকে ফেরাতেন না। বলা যায়, পৌরানিক কাহিনীতে উল্লেখিত চরিত্রদের মধ্যে কর্ণের পরেই দানবীর হিসাবে উচ্চারিত হত মহারাজ বলির নাম।

মহারাজ বলি স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল জয় করেছিলেন। তার বীরত্ব ও তেজের কাছে দেবরাজ ইন্দ্র ছিলেন অনেকটাই ম্রিয়মান। সম্মুখ যুদ্ধে বলিকে পরাজিত করবার ক্ষমতা ছিল না দেবতাদের। তাই তারা বিষ্ণুর শরনাপন্ন হন।

মহারাজ বলির দাতা হলেও এই কারনে তার অহংকার ছিল প্রচুর। এই দানের অহংকারকেই অস্ত্র করলেন বিষ্ণু৷ তিনি বামন রূপ নিয়ে তিন পদ ভূমি দান চাইলেন বলির কাছে। বলিরাজ সম্মত হতেই বামন আকৃতিতে বড় হতে লাগল। তার এক পায়ে ঢেকে গেল পৃথিবী। আরেক পায়ে স্বর্গ ও পাতাল। তখন বামন তৃতীয় পদ রাখার স্থান জানতে চাইলে বলি রাজা নিজের মাথা এগিয়ে দেন। বিষ্ণুর মায়ায় বলি প্রবেশ করলেন রসাতলে।

বলিরাজ রসাতলে প্রবেশের আগে বিষ্ণুর কাছে বলেন, প্রজারা তার সন্তান সম। তিনি যেন এক দিন প্রজাদের দেখতে আসতে পারেন পৃথিবীর বুকে। বলা হয় ওনাম বা কেরলের শস্য বপনের দিনই মহারাজ বলি সূক্ষ দেহে প্রজাদের দেখিতে আসেন। অনেকে পোঙ্গল ও ওনামকে এক বলে মনে করেন। জানিয়ে রাখি ওনাম শস্য বপনের উৎসব এবং পোঙ্গল শস্য আহরণের।

 

 

X