বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যজুড়ে একের পর এক সামনে আসছে সন্ত্রাসের ঘটনা। রাজনৈতিক হিংসা, খুন যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলায়। এর মধ্যে আবারও সামনে এলো সন্ত্রাসের ঘটনা। নবদ্বীপে আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলর। রবিবার রাতেই আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে নবদ্বীপের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর গোষ্ট ভট্টাচার্যের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে কার্যতই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরেই ওই কাউন্সিলরের পার্টি অফিসের সামনে ঘোরাঘুরি করছিল অন্য এলাকার বেশ কয়েকজন। রবিবার রাত ১১ টা নাগাদ পার্টি অফিস থেকে একাই ফিরছিলেন গোষ্ট ভট্টাচার্য। তখনই তাঁর উপর আক্রমণ চালানো হয়। তৃণমূলের অভিযোগ দুষ্কৃতিরা সকলেই বিজেপি আশ্রিত।
সেদিন রাতে রীতিমতো আগ্নেয়াস্ত্র সমেত ওই কাউন্সিলরের উপর হামলা চালানো হয়। পার্টি অফিসে তালা লাগিয়ে বেরোনোর সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। ধস্তাধস্তিতে কারও একজনের হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ছিটকে পড়ে যায় পাশের ড্রেনে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। পুলিশ এসেই সেই ড্রেন থেকে উদ্ধার করে আগ্নেয়াস্ত্রটিকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কাউন্সিলরের উপর আক্রমন চালানোর জন্য মোট ৭ জন দুষ্কৃতী এসেছিল। তাদের মধ্যে ৪ জন চম্পট দিলেও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে দুটি বাইকও। ঘটনার পিছনে কী উদ্দ্যেশ্য রয়েছে, কোনও বড় মাথা এর পিছনে কাজ করছে কি না, কোনও রাজনৈতিক কারণ এর সঙ্গে আদৌ জড়িত কি না সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিস্তারিত এবং পলাতকদের পরিচয় জানতে জেরা করা হচ্ছে ধৃতদের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও ঘটনার সঙ্গে বিজেপি যোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য কৃষাণ মোর্চার সহ সভাপতি আশিস পাল ও নবদ্বীপ জোনের কো-কনভেনর সুরজিৎ বিশ্বাস। তাঁদের দাবি কুৎসা করার জন্যই এর মধ্যে বিজেপির নাম জড়াচ্ছে তৃণমূল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে তীব্র উত্তেজনা এবং চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় তা বলাই বাহুল্য।