বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুলিসের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগে তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। ওস্তাদ রশিদ খানের গাড়ি চালক, স্ত্রী, কন্যাকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল পুলিসের বিরুদ্ধে। সেই বিতর্কের আগুন স্তিমিত হওয়ার আগেই ফের আঙুল উঠল খাকি উর্দির দিকে। অভিযোগ করলেন অভিনেতা জিতু কামাল (Jeetu Kamal) এবং তাঁর স্ত্রী নবনীতা দাস (Nabanita Das)।
বৃহস্পতিবার নিমতা থানার সামনেই খুন এবং ধর্ষণের হুমকি পান নবনীতা। অভিযোগ জানাতে গেলেও কোনো লাভ হয়নি। পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনে ফেসবুক লাইভে সবটা জানিয়েছিলেন নবনীতা। পুলিসের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি।
থানা থেকে বাড়ি ফেরার পর আবারো একটি ভিডিও বার্তা দেন নবনীতা। সেখানে তিনি বলেন, বাড়ি ফেরার পর টিভিতে তিনি দেখেন যে সংবাদ মাধ্যমের সামনে থানার এসিপি দাবি করছেন যে, তাঁরা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এফআইআর নেওয়া হয়েছে। নবনীতার প্রশ্ন, তাহলে কি তাঁরা যে ঘন্টার পর ঘন্টা থানায় অপেক্ষা করলেন, সাংবাদিক বন্ধুরা দাঁড়িয়ে রইলেন সবটা মিথ্যে?
ভিডিওটির সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘খুব বড়ো শিক্ষা পেলাম আজ। “সেলিব্রিটি বা চেনা মুখ” এই সকল তকমাতে আমি বিশ্বাসী নই। সাধারণ মানুষ হিসেবে বিচার চাইতে গিয়েছিলাম, পরশুরাম বাবুর কাছে৷ দারুণ ভয় পাওয়ালেন স্যার। পরশুরাম বাবু আপনিই শ্রেষ্ঠ, আপনি “পুলিশ”‘।
থানার সামনে ‘ডেড’ করে দেওয়ার হুমকি পাওয়ার ভিডিওটিও শেয়ার করেছেন নবনীতা। এক যুবককে সেখানে রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দিতে দেখা যাচ্ছে। ঘটনার উত্তেজনায় অশান্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রীও। থানার সামনে দাঁড়িয়ে ডেড করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে! কোথায় আইন? প্রশ্ন তুলতে শোনা যায় তাঁকে। জিতু শান্ত করার চেষ্টা করেন স্ত্রীকে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে নবনীতা লিখেছেন, ‘কিভাবে নিমতা ASI পরশুরাম বাবু দায়িত্ব পালন করছেন! বাহ আপনিই জিতলেন স্যার,আমি আর প্রতিবাদ করবো না স্যার।’ পাশাপাশি অভিযুক্ত তিনজনেরও ছবি শেয়ার করেছেন নবনীতা। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।