বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতা, হাওড়ার একাধিক জায়গা। মিছিল শুরু হতেই সাঁতরাগাছিতে অশান্তির খবর সামনে আসে। এরপর হাওড়া ব্রিজে ব্যারিকেড ভাঙতেই আরও এক দফায় পরিস্থিতি (Nabanna Abhijan) তেতে ওঠে। এবার অশান্ত হয়ে উঠেছে হেস্টিংস।
নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে তোলপাড়!
এদিন দুপুর ১টা নাগাদ নবান্নের দিকে মিছিল এগোতে শুরু করে। আন্দোলনকারীরা পুলিশি বাধার সম্মুখীন হতেই শুরু হয় অশান্তি। মহাত্মা গান্ধী রোডে পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে জনতা। পাল্টা পুলিশের (Police) তরফ থেকে আবার জলকামান ছোঁড়া হয়। এবার অশান্ত হয়ে উঠল হেস্টিংস এলাকা।
জানা যাচ্ছে, পুলিশ লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়েন আন্দোলনকারীরা। এরপর পুলিশের তরফ থেকে পাল্টা টিয়ার গ্যাসের সেল ছোঁড়া হয়। মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের তরফ থেকে নানান ধরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। নবান্ন (Nabanna) চত্বরে পৌঁছনোর আগেই অভিযান ছত্রভঙ্গ করতে তৎপর তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ আচমকা নবান্নের নর্থ গেটের সামনে চলে এলেন কয়েকজন! তারপর যা হল … তোলপাড় কাণ্ড!
পুলিশ-আন্দোলনকারীদের আক্রমণ পাল্টা আক্রমনে তেতে ওঠা হেস্টিংসে রয়েছেন দুই বিজেপি নেতা। ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) এবং আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচি (Koustav Bagchi) সেখানে উপস্থিত রয়েছেন বলে খবর।
এদিকে মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের মরিয়া চেষ্টার মাঝেই কয়েকজন আন্দোলনকারী আবার নবান্নের নর্থ গেটের সামনে চলে আসেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান তুলতে থাকেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, নবান্ন চত্বরেই বাড়ি তাঁদের। কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ এসে ওই আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেন।
পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সংগঠনের তরফ থেকে ডাক দেওয়া এই নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে আবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘কীসের অরাজনৈতিক আন্দোলন? উদ্যোক্তারা স্বীকার করেছেন তাঁরা আরএসএস। এরপরেই কারা এটাকে অরাজনৈতিক আন্দোলন বলছেন?’ এদিকে দমনপীড়ন বন্ধ না হলে বুধবার ‘রাজ্য স্তব্ধ করে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।