বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhijan) ডাক দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। ঘোষণার পর থেকেই শিরোনামে রয়েছে এই কর্মসূচি। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল শুরু হয়। সাঁতরাগাছি থেকে এগোতে থাকেন আরেক দল জনতা। হাওড়া ব্রিজে মিছিল আসতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে তুলকালাম!
এদিন কলেজ স্কোয়্যার থেকে জাতীয় পতাকা হাতে অভিযান শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। সাঁতরাগাছিতেও প্ল্যাকার্ড হাতে শুরু হয় জমায়েত। মুহূর্তের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশি (Kolkata Police) ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীরা এগোনোর চেষ্টা করতে থাকেন বলে খবর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হতে থাকে লাঠি, প্ল্যাকার্ড।
এরপর ধীরে ধীরে হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) দিকে এগোতে থাকে মিছিল। সেখানে ব্যারিকেড ভাঙতেই তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোঁড়ে পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে বাধা এলেও তা উপেক্ষা করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকে জনতা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযানে ধৃতদের পাশে দাঁড়িয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত! শুভেন্দুর এক ঘোষণায় তোলপাড় বাংলা
এদিন আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের তরফ থেকে জনতাকে বাধা দেওয়া হয়। তা দেখে তেতে ওঠেন আন্দোলনকারীরা। পাল্টা পুলিশকে ‘অ্যাটাক’ করতে শুরু করেন তাঁরা। ইট, পাথর নিয়ে দৌড়তে আরম্ভ করেন। বাধ্য হয়ে পুলিশ পিছু হটে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, চণ্ডীতলার আইসি আহত হয়েছেন। তাঁর মাথা ফেটেছে বলে খবর। এরপর আন্দোলনকারীরাই আহত পুলিশ কর্তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বলে জানা যাচ্ছে।
আজকের মিছিল (Nabanna Abhijan) ছত্রভঙ্গ করতে কোনও কিছু বাদ রাখছে না পুলিশ। জলকামান ছোঁড়া থেকে লাঠিচার্জ হয়েছে সবকিছুই। কিন্তু জনতাও পিছি হটতে নারাজ। আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে হওয়া এই কর্মসূচির দিকে বর্তমানে নজর রয়েছে গোটা বাংলার।