বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর ইস্যুকে সামনে রেখে গত ২৭ অগস্ট ধুন্ধুমার বেঁধে যায় মহানগরীর বুকে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ ও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নবান্ন অভিযানের (Nabanna Campaign) ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা কলকাতা। পুলিশ, লাঠিচার্জ, পাল্টা ইট বৃষ্টি থেকে শুরু করে সেই ঘটনার জল গড়িয়েছিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court) সুপ্রিমকোর্ট অবধি। এবার নতুন বছরে ফের নবান্ন অভিযান কর্মসূচির ডাক।
জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)
সম্প্রতি ‘নবান্ন চলো’ ডাক দিয়ে সমাজমাধ্যমে পোস্টার ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৬ তারিখ ওই কর্মসূচি হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কারা ডাকলো নবান্ন অভিযান? এই নিয়েই বিস্তর ধোঁয়াশা। কলকাতার বুকে নবান্ন অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কে বা কারা সেই পরিচয় জানতে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন ৬৫ বছরের এক প্রবীণ। নাম ভরতকুমার মিশ্র।
জানা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে হতে চলা ওই নবান্ন অভিযান যাতে আটকানো যায় সেই আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন ওই প্রবীণ। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সমাজমাধ্যমে যে পোস্টার ভাইরাল হয়েছে তাতে বলা হয়েছে আগামী ১৬ তারিখ দুপুর ১টায় ওয়েলিংটন স্কোয়ারে জমায়েত হবে তারপর মিছিল যাবে নবান্নের দিকে। স্লোগান রয়েছে, ‘রাত দখলের পর/ আজ দাবি দখল’। কিন্তু কে বা কারা এর পেছনে? নেতৃত্বে কারা তার কোনো উল্লেখ নেই পোস্টে। এই নিয়েই মানলাকারীর অভিযোগ এই কর্মসূচির কারণ কী? কারা করছে? পুলিশের থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ মামলাকারীর।
আরও পড়ুন: প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার ঢুকেছিল তাদের অ্যাকাউন্টে! আবাসের টাকা ফেরানোর নির্দেশ ঘিরে হৈচৈ
মামলাকারীর বক্তব্য, আগামী ১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা শেষ হবে। সেখান থেকে তীর্থযাত্রীরা ফিরবেন। ওই একই সময়ে শহরের বুকে এই ধরণের কর্মসূচি হলে অবশ্যই সমস্যা হবে। তীর্থযাত্রীদের সমস্যার বিষয়টি উল্লেখ করেন তিনি। মামলাকারী নিজেও গঙ্গাসাগর যাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সংস্থায় যুক্ত বলে দাবি করেন। এই আবহে ঠিক কি উদ্দেশে কারা এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন তা জানতে আদালতে মামলা (Calcutta High Court)।