বাংলাহান্ট ডেস্ক : আপাতত সংঘর্ষ বিরতি চললেও ভারত পাকিস্তান ইস্যুতে হাওয়া এখনও বেজায় গরম। শনিবারও সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে একাধিক জায়গায় গোলাগুলি, ড্রোন হামলা চালায় পাকিস্তান। পালটা ভারতীয় সেনা উচিত শিক্ষা দিতে গতকাল রাত দশটা থেকে হামলা বন্ধ রেখেছে পাকিস্তান। ভারতের তরফে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, রবিবার রাতেও ফের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আর ছেড়ে কথা বলা হবে না পাকিস্তানকে। এর মাঝে রাজ্যের বিভিন্ন জেলাগুলির জন্য আগামী ৩ মাস কড়া বার্তা দিল নবান্ন (Nabanna)।
বাংলার বিভিন্ন জেলাগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশ নবান্নের (Nabanna)
রবিবার ভার্চুয়াল বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বিশেষ নির্দেশ দিয়েছেন বিভিন্ন জেলা প্রশাসনকে। আগামী ৩ মাস জেলাগুলিতে যাতে খাদ্যের কোনো রকম ঘাটতি না হয় তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। কোনো রকম জরুরি অবস্থা দেখা দিলে রাজ্য সরকারের আগাম সব ব্যবস্থা যেন তৈরি থাকে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে নজরদারি আরো কড়া করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের (Nabanna) তরফে।
দুর্গম এলাকায় নজরদারি: এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে কোন জেলায় কতটা খাদ্য মজুত আছে তা নিয়ে আলোচনা করেন মুখ্যসচিব (Nabanna)। প্রত্যন্ত, দুর্গম এলাকাগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে ঘেরা আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং সুন্দরবনের জলপথ এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জরুরি পরিস্থিতিতে যাতে চিকিৎসা পরিষেবায় কোনো ঘাটতি না হয় তার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলিকে।
আরো পড়ুন : ‘রবিবারের রাতটাই শেষ…’, সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা ভারতের
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকেও: পাশাপাশি রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নের (Nabanna) তরফে। আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে কী কী প্রস্তুতি নিতে হবে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য এবং কলকাতা পুলিশের তরফে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি হয়েছে।
আরো পড়ুন : আগ বাড়িয়ে কাশ্মীর নিয়ে টানাটানি, ‘তৃতীয় পক্ষ’ আমেরিকার হস্তক্ষেপকে সাধুবাদ পাকিস্তানের
কোনো জরুরি পরিস্থিতিতে রেডিও, মোবাইল বা অন্য কোনো মাধ্যমে যোগাযোগের ক্ষেত্রে যাতে কোনো বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতার পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক এবং জেলাগুলির পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গুজব, ভুয়ো তথ্যে যাতে কেউ কান না দেন সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে।