বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের ট্যাব কেনার জন্য ১০,০০০ টাকা করে দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। চলতি বছরও এই টাকা দেওয়া হয়েছে। তবে এবার বেশ কিছু পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে এই টাকা না গিয়ে অন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কারোর কারোর কাছে আবার দু’বার টাকা চলে যাওয়ার খবর সামনে এসেছে। এই আবহে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।
ট্যাবের টাকা বিভ্রাটের পর কী সিদ্ধান্ত নবান্নের (Government of West Bengal)?
তরুণের স্বপ্ন (Taruner Swapna) প্রকল্পের টাকা নিয়ে এই বিভ্রাটের কথা ইতিমধ্যেই কানে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর। জানা যাচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে তিনি নিজেও ক্ষুব্ধ। তাঁর নির্দেশ মতো সোমবার বিকেলে নবান্নে বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার ও নানান জেলার প্রশাসনিক কর্তারা।
সেই বৈঠকে ট্যাবের টাকা নিয়ে বিভ্রাটের ঘটনাকে ‘সিস্টেম’এর সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছে নবান্ন (Government of West Bengal)। একইসঙ্গে এই অসুবিধার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষকদের দায়ী করা হয়েছে বলে খবর। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, গতকালের এই বৈঠকে ‘সিস্টেম’ আধুনিকীকরণের কথা বলা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে এই ধরণের সমস্যা না দেখা দেয়, সেই কারণে সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।
আরও পড়ুনঃ ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী! এবার সরকারের ‘এই’ গুরুত্বপূর্ণ পদে বসছেন অভিষেক? শোরগোল শুরু
রিপোর্ট বলছে, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ দিনাজপুর- এই জেলাগুলি থেকে ট্যাবের টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে। মোট ৩০৯ জন ছাত্রছাত্রীর তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের (Government Scheme) টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মুখ্যসচিব গতকালের বৈঠকে জানান, ইতিমধ্যেই ৯৫ জন ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদেরও শীঘ্রই পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
একইসঙ্গে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে ‘ভুলবশত’ সরকারের দেওয়া টাকা চলে গিয়েছে, সেগুলি ইতিমধ্যেই ‘সিজ’ করে দেওয়া হয়েছে। গতকালের বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, আগামী দিনে যাতে এই ধরণের ঘটনা না ঘটে, সেই জন্য আধার লিঙ্কড অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হোক।
নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ট্যাবের টাকা বিভ্রাটের এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) কাছে যে তথ্য উঠে এসেছে, সেখানে বিদ্যালয়গুলির প্রধান শিক্ষকদের গাফিলতির কথা সামনে এসেছে। নানান জেলা থেকে যে রিপোর্ট এসেছে, তার ভিত্তিতে স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিবকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তাঁর নির্দেশ, অ্যাকাউন্টে সমস্যার অভিযুক্তদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে।