বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের বেশ কিছু জেলায় অব্যাহত বালির চোরাচালান। নবান্ন (Nabanna) থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া অবৈধ ভাবে চলছে বালির চোরাচালান। শনিবার উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ প্রসঙ্গ উঠতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে কড়া হাতে তা বন্ধ করার জন্য তিনি নির্দেশ দিয়েছেন বলে খবর।
অবৈধ বালি খাদান নিয়ে পদক্ষেপ নবান্নের (Nabanna)
শনিবার একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। নবান্নে (Nabanna) মোট ১২ টি দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে ওই বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল। প্রতিটি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক এবং সহকারী জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই বিভিন্ন বিষয়ের মধ্যে অবৈধ বালি চোরাচালানের প্রসঙ্গ ওঠে।
কী নির্দেশ দিলেন মুখ্য সচিব: কয়েকটি জেলায় অবৈধ বালি খাদানের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসকদের তা কড়া হাতে দমন করার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব (Nabanna)। পাশাপাশি জলভূমি ভরাটের কোনো ঘটনার খবর পেলে সেক্ষেত্রেও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন : অর্ধেক দামে মিলছে আলু-পেঁয়াজ, অনলাইন বাজারেই ভিড় জনতার, মাছি তাড়াচ্ছে মুদি দোকানিরা
চলছে বর্ষার প্রস্তুতি: যেমনটা জানা গিয়েছে, এখন থেকেই বর্ষাকালের কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি জেলাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ভারী বর্ষণের কথা মাথায় রেখে নবান্নে (Nabanna) বিপর্যয় মোকাবিলার বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। তা চলবে আগামী ৫ ই জুন থেকে ৩১ শে অক্টোবর পর্যন্ত।
আরো পড়ুন : ‘সীমা ছাড়াচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট’, বিজেপি সাংসদের অভিযোগে প্রথম প্রতিক্রিয়া বিচারপতির, বললেন…
কোথাও কোনো দুর্যোগের খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে দুর্গতদের কাছে ত্রাণ পাঠানো যায় সে বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে আরো খবর পাওয়া গিয়েছে, সীমান্তবর্তী এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে বর্ডার এরিয়া ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের অধীনে বরাদ্দ অর্থের ইউসি চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। জেলাশাসকদের তা দ্রুত পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও খবর।