বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রত্যেক অর্থবর্ষে দেখা যায় একেবারে শেষ দিকে প্রকল্পের অর্থ খরচের হিড়িক পড়ে যায়। তাই এবার প্রকল্পের রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ যাতে সঠিক সময় মতো পুরোটা খরচকরা হয় এবং কোন টাকা যাতে ফেরত না যায় তার জন্য প্রত্যেকটি দপ্তরকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। বুধবার এই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
প্রকল্পের টাকা খরচের ব্যাপারে এবার বিরাট কড়া নবান্ন (Nabanna)
আসলে, একেবারে শেষ মুহূর্তে বেশি পরিমাণ অর্থ খরচ করতে গিয়ে তাড়াহুড়োতে অনেক ভুলভ্রান্তির আশঙ্কাও থেকে যায়। তাই এবার নবান্নের অর্থ দপ্তর এব্যাপারে কড়া অবস্থান নিয়েছে। স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, মানুষের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ টাকা খরচে কোনরকম ঢিলামি আর বরদাস্ত করা হবে না। পুরো টাকা যাতে সঠিকভাবে,সঠিক সময়ে খরচ করা হয় সেকথাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। খরচের ক্ষেত্রেও সমস্ত রকম স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে বলে বার্তা দেয়া হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, মার্চ মাসের জন্য সরকারি কর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গ্রন্থাগার, পঞ্চায়েতের কর্মীদের বেতন ও মাসিক ভাতা বা মজুরি ও পেনশন ২ এপ্রিলের মধ্যে দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই নবান্নের (Nabanna) তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই মর্মে সমস্ত দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে একসঙ্গে প্রচুর বিল জমা পড়লে সমস্যা তৈরি হতে পারে,তাই নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে সেগুলি পাঠাতে হবে। উল্লেখ করা হয়েছে ট্রেজারি বা পে অ্যাকাউন্টস অফিসে কোন বিল বা চালান কত তারিখের মধ্যে পাঠাতে হবে সেই তালিকাও। একইসাথে কর্মীদের বকেয়া, অবসরকালীন ভাতা বা টিএ বিল সংক্রান্ত বিষয়েও স্পষ্ট জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রায় ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে রাজ্যে! বড় ঘোষণা মমতার
দিনক্ষণ জানিয়ে নবান্নের (Nabanna) তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে আগামী ২৮ মার্চের পর পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসে বা ট্রেজারিতে বিল আর পাঠানো যাবে না। এছাড়া ১৩ মার্চের মধ্যে যে বিলগুলি ফেরত দেওয়া হয়েছিল বা যে বিলগুলি নিয়ে আপত্তির কথা বলা হয়েছে সেগুলি আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে আবার নতুন করে পাঠাতে হবে। আরও একটা বিষয় পরিষ্কার জানানো হয়েছে, এবার থেকে চেক বা শূন্য বিল (নিল বিলস) বা পিএল ট্রান্সফার স্টেটমেন্টের ব্যাক এন্ড ডেলিভারি কোনওভাবেই অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার পর নেওয়া হবে না। এমনকি অর্থ দপ্তরের সম্মতি ছাড়া কোনও অগ্রিমও নেওয়া হবে না।
সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ পুরো টাকা খরচ করা, এবং গোটা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন কর্মী সংগঠনের নেতারাও। একইসাথে অল বেঙ্গল পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোজ চক্রবর্তীও অবসরকালীন ভাতা সংক্রান্ত উদ্যোগকেও সাধুবাদ জানিয়েছেন।