বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর নিয়ে কড়াকড়ি নবান্নের (Nabanna)। নিজেদের ইচ্ছামতো আর কর (Tax) চাপানো যাবে না। কর চাপানোর ক্ষেত্রে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদগুলিকে নির্দেশ নবান্নের। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে জেলাশাসকদের কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সূত্রের খবর সাধারণ মানুষের উপর পঞ্চায়েতের ইচ্ছামতো কর চাপিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন।
কর নিয়ে কড়াকড়ি | Nabanna on Tax
সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার এমন ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েতে ইচ্ছামতো কর চাপিয়ে দিচ্ছে সাধারণ মানুষের উপর। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী অবগত হতেই বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরই টনক নড়ে প্রশাসনের। সম্প্রতি মুখ্যসচিব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতকে যে কোনও কর বা ফি-ই ধার্য করুক না কেন রাজ্যের অর্থদপ্তর বা পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে আগে অনুমতি নিতে হবে।
জেলাশাসকদের মুখ্যসচিবের স্পষ্ট নির্দেশ, কর সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার যা নির্দেশিকা করে দিয়েছে তা পুরোপুরি মানা হচ্ছে কি না তা নজরে রাখতে হবে। বিডিওদেরও এই বিষয়ে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদ সরকারি গাইডলাইন না মানলে এবার কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এবার পূর্বের হাতে লেখা রসিদ বন্ধ করে পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরেই ‘ইউনিফায়েড অ্যাকাউন্টিং সফটওয়্যার’-এর সাহায্যে ‘সহজ সরল’ নামে একটি পোর্টাল চালু করা হয়েছে। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত- এই তিনটি স্তরেই প্রচুর পরিমাণে টাকার লেনদেন হয়। এবার পোর্টালের মাধ্যমে সব সমস্ত কাজ।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/jcPMBx8GxNo?si=UTUcIxTQsIhuoJ7f
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতে কর ধার্য করা বা তার প্রয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আগেই সুস্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ীই কর ধার্য করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক জেলা থেকে পঞ্চায়েতের কর নিয়ে অভিযোগ উঠছিল। সেই খবর নবান্নে পৌঁছতেই এবার কড়াকড়ি।